আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারো শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো আফগানিস্তান। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসাইন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, ওই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল)।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৬টা ৪১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর ১০ মিনিট পর ৫ মাত্রার একই এলাকায় একটি আফটার শক আঘাত হানে।
এর আগে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলেও শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।
আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়েক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, শনিবারের ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি আহতের সংখ্যা সংশোধন করে ২ হাজার জনের বেশি বলেছেন। এর আগে তিনি আহতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৪০ জন বলেছিলেন।
আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক তালেবান জানিয়েছে, শনিবারের ভূমিকম্পে হেরাতের ২০টি গ্রামে ১৯৮৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের পর ৩৫টি জাতীয় ও বিদেশি প্রতিনিধি দল ধ্বংসাবশেষ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
পাহাড়ে ঘেরা আফগানিস্তানে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী হিন্দুকুশ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে যুদ্ধের কারণে অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালানো অনেক কঠিন। এ কারণে দেশটিতে ভূমিকম্পের পর মৃতের সংখ্যা বেশি হয়।
ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। এরপর আরও চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে।
রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯। এর আগে গত জুনে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারান এক হাজারের বেশি মানুষ।