Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারো যেন রাজপথে নামতে না হয়, নির্বাচনের তারিখ দিন : ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আবারো যেন রাজপথে নামতে না হয়, এজন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দীন আহমেদ মনির ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেকেই বাহানা করে আপনাকে বুঝাতে পারে, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবেন, সংসদে যাবেন। অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে। সেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন হবে- এটাই তো জনগণের চাওয়া আপনার কাছে।

ফারুক বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে। সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সরকারি পদগুলোতে বসার সুযোগ খুঁজছে। কিন্তু দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণের মনের আশা পূর্ণ করার জন্যই তো আজকের এই অন্তর্বর্তী সরকার। সেটা কি পূরণ হচ্ছে? সংস্কারের নামে যদি আবার বিলম্ব হয়, সংস্কারের নামে যদি আবার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এসে বসে যায়, তাহলে তো আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা আর রাস্তায় নামতে চাই না। আমরা মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। আমরা মানুষকে গণতন্ত্র ফেরত দিতে চাই। আমরা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশের ক্ষমতায় দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বেলায় মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ চলে যায় বাসায়, আর এখন আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার আসামিরা কেন জামিন পায়- জনগণ তা জানতে চায়?

বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন মামলা হলে পুলিশ বলে তদন্ত করে দেখব মামলা সঠিক কিনা? কোথায় হারুন? কোথায় বিপ্লব? কোথায় মেহেদী? যারা বিএনপির অফিসকে তছনছ করেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে, এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? কেন এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের টিভি মিডিয়ার সামনে বসতে দেওয়া হচ্ছে? কেন চিনি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বাড়ছে- মানুষ তা জানতে চায়?

ফারুক বলেন, এসব প্রশ্ন শোনার জন্য তো দেশের জনগণ ড. ইউনূসকে সম্মান দেয়নি। বাংলাদেশে যারা আওয়ামী লীগের মতো ষড়যন্ত্র করে দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যারা ধ্বংস করেছে, যারা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে, আয়না ঘর তৈরি করেছে- তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্যই আপনাকে গদিতে বসানো হয়েছে। সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে? সংস্কারও চলবে, গ্রেপ্তারও চলবে। হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে।

বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের নামে, শেখ হাসিনার নামে, শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অনেকগুলো নামকরণ করা হয়েছে। অবিলম্বে এগুলো বাতিল করতে হবে। যারা আত্মাহতি দিয়েছে ছাত্রসমাজ, তাদের নামে নামকরণ করতে হবে।

ফারুক অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সবাই বলে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। মুগ্ধের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্যই আজকের এই অন্র্বের্তী সরকার। কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হচ্ছে?

জনগণ কেন প্রশ্ন করবে, এখন চিনির দাম বাড়লো কেন? পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন? কাগজ যাওয়ার আগেই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করে আসামি। এগুলো জনগণ জানতে চায়। এগুলো শোনার জন্য ড. ইউনূস আপনাকে কখনো রক্ত দেয়নি এই গতিতে বসার জন্য। মুগ্ধের রক্ত এ জন্য দেয়নি। আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিনিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। যারা মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগন এখন বলা শুরু করেছে সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে। সংস্কারও চলবে, গ্রেফতারও চলবে এবং হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে। এখন মামলা হয় আর আপনারা (অন্তবর্তীকালিন সরকার) বলেন তদন্ত করে দেখবো মামলা সঠিক কি না। কোথায় হারুন, কোথায় বিপ্লব, কোথায় মেহেদী, যারা আমার অফিস তছনছ করে আমাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা করা হবে! খুনিদেরকে কেন এখনো বিভিন্ন মিডিয়াতে বসতে দেওয়া হয়। কেন আবার শেখ মুজিবের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলবে এই সুযোগ কেন আপনি দেবেন।

এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আবারো যেন রাজপথে নামতে না হয়, নির্বাচনের তারিখ দিন : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আবারো যেন রাজপথে নামতে না হয়, এজন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দীন আহমেদ মনির ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেকেই বাহানা করে আপনাকে বুঝাতে পারে, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবেন, সংসদে যাবেন। অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে। সেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন হবে- এটাই তো জনগণের চাওয়া আপনার কাছে।

ফারুক বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে। সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সরকারি পদগুলোতে বসার সুযোগ খুঁজছে। কিন্তু দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণের মনের আশা পূর্ণ করার জন্যই তো আজকের এই অন্তর্বর্তী সরকার। সেটা কি পূরণ হচ্ছে? সংস্কারের নামে যদি আবার বিলম্ব হয়, সংস্কারের নামে যদি আবার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এসে বসে যায়, তাহলে তো আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা আর রাস্তায় নামতে চাই না। আমরা মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। আমরা মানুষকে গণতন্ত্র ফেরত দিতে চাই। আমরা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশের ক্ষমতায় দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বেলায় মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ চলে যায় বাসায়, আর এখন আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার আসামিরা কেন জামিন পায়- জনগণ তা জানতে চায়?

বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন মামলা হলে পুলিশ বলে তদন্ত করে দেখব মামলা সঠিক কিনা? কোথায় হারুন? কোথায় বিপ্লব? কোথায় মেহেদী? যারা বিএনপির অফিসকে তছনছ করেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে, এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? কেন এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের টিভি মিডিয়ার সামনে বসতে দেওয়া হচ্ছে? কেন চিনি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বাড়ছে- মানুষ তা জানতে চায়?

ফারুক বলেন, এসব প্রশ্ন শোনার জন্য তো দেশের জনগণ ড. ইউনূসকে সম্মান দেয়নি। বাংলাদেশে যারা আওয়ামী লীগের মতো ষড়যন্ত্র করে দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যারা ধ্বংস করেছে, যারা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে, আয়না ঘর তৈরি করেছে- তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্যই আপনাকে গদিতে বসানো হয়েছে। সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে? সংস্কারও চলবে, গ্রেপ্তারও চলবে। হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে।

বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের নামে, শেখ হাসিনার নামে, শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অনেকগুলো নামকরণ করা হয়েছে। অবিলম্বে এগুলো বাতিল করতে হবে। যারা আত্মাহতি দিয়েছে ছাত্রসমাজ, তাদের নামে নামকরণ করতে হবে।

ফারুক অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সবাই বলে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। মুগ্ধের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্যই আজকের এই অন্র্বের্তী সরকার। কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হচ্ছে?

জনগণ কেন প্রশ্ন করবে, এখন চিনির দাম বাড়লো কেন? পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন? কাগজ যাওয়ার আগেই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করে আসামি। এগুলো জনগণ জানতে চায়। এগুলো শোনার জন্য ড. ইউনূস আপনাকে কখনো রক্ত দেয়নি এই গতিতে বসার জন্য। মুগ্ধের রক্ত এ জন্য দেয়নি। আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিনিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। যারা মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগন এখন বলা শুরু করেছে সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে। সংস্কারও চলবে, গ্রেফতারও চলবে এবং হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে। এখন মামলা হয় আর আপনারা (অন্তবর্তীকালিন সরকার) বলেন তদন্ত করে দেখবো মামলা সঠিক কি না। কোথায় হারুন, কোথায় বিপ্লব, কোথায় মেহেদী, যারা আমার অফিস তছনছ করে আমাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা করা হবে! খুনিদেরকে কেন এখনো বিভিন্ন মিডিয়াতে বসতে দেওয়া হয়। কেন আবার শেখ মুজিবের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলবে এই সুযোগ কেন আপনি দেবেন।

এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।