স্পোর্টস ডেস্ক :
সামনে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর। এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে টাইগার্স ও এইচপি দল চট্টগ্রামে দুটি ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের ম্যাচ খেলবে। প্রথম ৫০ ওভারের ম্যাচটি সোমবার (১৫ জুলাই) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়িয়েছে। যেখানে টাইগার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৪০৩ রান করেছে এইচপি দল।
বাংলাদেশ টাইগার্সে বিপক্ষে রীতিমতো ঝোড়ো ব্যাটিং দেখাল বিসিবি হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট। তাদের বিশাল এই রানের পাহাড়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার্স ব্যাটাররা। ১৩৭ রানের ব্যবধানে হেরে গেছে তারা। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এক প্রস্তুতি ম্যাচে এমন তাণ্ডব চালান আফিফ হোসেন ধ্রুব, জিসান আলমরা।
এইচপির হয়ে শতক হাঁকিয়েছেন দলের তিন ব্যাটার- জিশান আলম, আফিফ হোসেন ও আকবর আলী। এর মধ্যে জিশান ৭৮ বলে ১২৭, আফিফ ৭৪ বলে ১০৩ এবং আকবর ৭৪ বলে ১০২ রান করেছেন। জিশান অবশ্য ছক্কার একটি রেকর্ডও ভেঙেছেন। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩টি ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন জিশান। এর আগে ১২টি ছক্কার রেকর্ড ছিল মাহফুজুর রহমান ও জাকির হাসানের।
বাংলাদেশ টাইগার্সের খেলোয়াড় তালিকাও তারকাবহুল। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল হক বিজয়, নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদের সঙ্গে আছেন টেস্ট দলের তারকা মুমিনুল হকও। কিন্তু তারকাবহুল দল নিয়েও জিততে পারেনি তারা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগার্স। মাত্র ১ রান করে রুয়েল মিয়ার বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। তবে আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অপরপ্রান্তে ছিলেন বেশ সাবলীল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি টাইগার্সের কেউই। ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন নাঈম। তার আগে ৫৫ বলে খেলেছেন ৪৯ রানের ইনিংস।
সাইফ হাসান, মিরাজ, মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও নাঈম হাসান প্রত্যেকেই শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। টাইগার্স ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে। এছাড়াও ৩০ রানের করে ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির ও নাঈম।
এইচপির হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন আলিস আল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াসি সিদ্দিকী ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
এর আগে ব্যাটিং করে এইচপি। তানজিদ হাসান তামিম ও জিসান আলম মিলে উদ্বোধনী জুটি গড়েন। জুনিয়র তামিম ৪৮ রানে আউট হলেও জিসান তুলে নেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। ৭৮ বলে খেলেন ১২৭ রানের ইনিংস।
এরপর মাহফিজুর রবিন ১ ও প্রীতম কুমার ৮ আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ হোসেন ও আকবর আলী। ৭৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হন আফিফ। তবে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭৪ বলে তিনি তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এই তিন সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে এইচপি ৫ উইকেট হারিয়ে ৪০৩ রান সংগ্রহ করে।
বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা, শফিকুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।