স্পোর্টস ডেস্ক :
দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। নেট প্র্যাকটিসে ব্যাট হাতেও দেখা গেছে তামিম ইকবালকে। তবে বারবার পিঠ-কোমড়ে হাত দিচ্ছিলেন, অনুশীলনে কখনই তামিমকে পুরোপুরি স্বস্তিতে দেখা যায়নি। শঙ্কা ছিল, তামিম হয়তো মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুধবার (১৪ জুন) থেকে শুরু টেস্টে খেলতে পারবেন না। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো।
পিঠের চোটের কারণে এই টেস্ট থেকে সরে গেছেন তামিম। তিনি না থাকায় জাকির হাসানের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামবেন মাহমুদুল হাসান জয়। অর্থাৎ দুই তরুণের কাঁধে থাকবে নতুন বল সামলানোর গুরুদায়িত্ব।
সকালে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যখন শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে কথা বলছিলেন, ঠিক তখন ইনডোর কমপ্লেক্সের খোলা আকাশের নিচে ন্যাচারাল টার্ফে নেটে ব্যাটিং করছিলেন তামিম।
ঠিক ৩০ মিনিটের সে প্র্যাকটিস সেশনে তামিম শুধু সামনের পায়ে ব্যাটিং অনুশীলন করলেন। পিছনের পায়ে খেললেন না। তখনই শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলাবলি করছিলেন, তবে কি পেছনের পায়ে ভর দিলে ব্যথা পাচ্ছেন তামিম?
হাথুরু অবশ্য তখন পরিষ্কার করে বলেননি, তামিম খেলতে পারবেন কিংবা পারবেন না। দেশসেরা ওপেনারকে নিয়ে টাইগারদের হেড কোচ বলেন, ‘আমরা সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে দেখব। যদি সব ইতিবাচক মনে হয় তাহলে তামিম খেলবে।’
তবে শুধু ব্যাটিংই শেষ কথা নয়। এরপর ফিল্ডিং, ক্যাচিং ও থ্রোয়িং প্র্যাকটিসটাও খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে তামিমের। সবকিছু মিলিয়ে তিনি নিশ্চয়ই ম্যাচ ফিট নন। তাই তামিমকে ছাড়াই একাদশ সাজানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্টের।
তামিমের ছিটকে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে জাতীয় দলের ফিজিও মোজাদ্দেদে আলফে সানী বলেছেন, তামিম কোমরে ব্যথা অনুভব করছে। তার ওই ব্যথা প্রায়ই ফিরে আসে। ব্যথা কমাতে ও স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে আমাদের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই টেস্ট ম্যাচটি খেলা হচ্ছে না। অনুশীলনে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং করার সময় তিনি ব্যথা অনুভব করছিলেন। পাঁচ দিনের ম্যাচ খেলার জন্য যে শারীরিক অবস্থা দরকার, সেটি নেই তার।
টেস্ট ম্যাচের স্কোয়াড
লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, শাহাদাৎ হোসেন দিপু, মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুশফিক হাসান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ।