Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টানা দুই ম্যাচ হেরে সম্ভবত টনক নড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের। সামনে যখন হোয়াইটওয়াশ হওয়ার চরম লজ্জার হাতছানি, তখন মরিয়া হয়ে উঠলো তারা। যার জেরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৬ রানের বড় জয় পেয়েছে শাদাব খানের দল। সিরিজ আগে হেরে গেলেও শেষ পর্যন্ত সমাপ্তি হলো ২-১ ব্যবধানে। আর এতেই হোয়াইটওয়াশও এড়াতে পেরেছে তারা।

সোমবার (২৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে পাকিস্তান। ওপেনার সাইম আইয়ুব ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। জবাব দিতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি পাকিস্তানি বোলারদের সামনে।

যেখানে বড় অবদান সাইম আইয়ুবের। এই ওপেনার ৪০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৪৯ রান।

পাকিস্তানের এই জযে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখান অধিনায়ক শাদাব খান। ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে চরম কৃপণতার পরিচয় দেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। যার ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।

এবার আর টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে অল্প রানে বেধে রাখতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৯২, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩০ রানে বেধে রেখে জয় তুলে নিয়েছিলো রশিদ খানের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ হারিসের উইকেট হারায় পাকিস্তান। মাত্র ১ রান করেন তিনি। এরপর তৈয়ব তাহির আউট হয়ে যান কেবল ১০ রান করে। ২৩ রান করে বিদায় নেন আবদুল্লাহ শফিকি। ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করে আউট হন সাইম আইয়ুব।

মিডল অর্ডারে ইফতিখার আহমেদ কিছুটা ধৈয্যের পরিচয় দেন। ২৫ বলে তিনি করেন ৩১ রান। ইমাদ ওয়াসিম আউট হন ১৩ রান করে। অধিনায়ক শাদাব খান ১৭ বলে ২৮ রান করে হিট উইকেটে আউট হয়ে আসেন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

আফগানদের হয়ে ২ উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি, মোহাম্মদ নবি, ফরিদ আহমেদ, রশিদ খান এবং করিম জানাত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১১ বলে ১৮ রান করেন। ১৯ বলে ১১ রান করে আউট হন সেদিকুল্লাহ আতাল, ইবরাহিম জাদরান করেন ৩ রান। উসমান গনি ১৭ বলে করেন ১৫ রান।

মোহাম্মদ নবি রান আউট হন ১৭ রান করে। নজিবুল্লাহ মাঠে নেমে প্রথম বলেই আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। করিম জানাতও গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নেন। রশিদ খান করেন ১৬ রান। রানের খাতা খুলতে পারেননি মুজিব-উর রহমান। ফরিদ আহমেদ ৯ বলে করেন ৫ রান। সর্বোচ্চ ২১ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।

শাদাব খান ছাড়াও পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন ইহসানুল্লাহ। ১টি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম, জামান খান এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

আফগানদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টানা দুই ম্যাচ হেরে সম্ভবত টনক নড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের। সামনে যখন হোয়াইটওয়াশ হওয়ার চরম লজ্জার হাতছানি, তখন মরিয়া হয়ে উঠলো তারা। যার জেরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৬ রানের বড় জয় পেয়েছে শাদাব খানের দল। সিরিজ আগে হেরে গেলেও শেষ পর্যন্ত সমাপ্তি হলো ২-১ ব্যবধানে। আর এতেই হোয়াইটওয়াশও এড়াতে পেরেছে তারা।

সোমবার (২৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে পাকিস্তান। ওপেনার সাইম আইয়ুব ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। জবাব দিতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি পাকিস্তানি বোলারদের সামনে।

যেখানে বড় অবদান সাইম আইয়ুবের। এই ওপেনার ৪০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৪৯ রান।

পাকিস্তানের এই জযে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখান অধিনায়ক শাদাব খান। ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে চরম কৃপণতার পরিচয় দেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। যার ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।

এবার আর টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে অল্প রানে বেধে রাখতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৯২, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩০ রানে বেধে রেখে জয় তুলে নিয়েছিলো রশিদ খানের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ হারিসের উইকেট হারায় পাকিস্তান। মাত্র ১ রান করেন তিনি। এরপর তৈয়ব তাহির আউট হয়ে যান কেবল ১০ রান করে। ২৩ রান করে বিদায় নেন আবদুল্লাহ শফিকি। ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করে আউট হন সাইম আইয়ুব।

মিডল অর্ডারে ইফতিখার আহমেদ কিছুটা ধৈয্যের পরিচয় দেন। ২৫ বলে তিনি করেন ৩১ রান। ইমাদ ওয়াসিম আউট হন ১৩ রান করে। অধিনায়ক শাদাব খান ১৭ বলে ২৮ রান করে হিট উইকেটে আউট হয়ে আসেন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

আফগানদের হয়ে ২ উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি, মোহাম্মদ নবি, ফরিদ আহমেদ, রশিদ খান এবং করিম জানাত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১১ বলে ১৮ রান করেন। ১৯ বলে ১১ রান করে আউট হন সেদিকুল্লাহ আতাল, ইবরাহিম জাদরান করেন ৩ রান। উসমান গনি ১৭ বলে করেন ১৫ রান।

মোহাম্মদ নবি রান আউট হন ১৭ রান করে। নজিবুল্লাহ মাঠে নেমে প্রথম বলেই আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। করিম জানাতও গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নেন। রশিদ খান করেন ১৬ রান। রানের খাতা খুলতে পারেননি মুজিব-উর রহমান। ফরিদ আহমেদ ৯ বলে করেন ৫ রান। সর্বোচ্চ ২১ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।

শাদাব খান ছাড়াও পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন ইহসানুল্লাহ। ১টি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম, জামান খান এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম।