Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনে কারও মৃত্যু হলে প্রধান আসামি হবেন শেখ হাসিনা : আমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, চলমান আন্দোলনে কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। মামলায় প্রধান আসামি করা হবে শেখ হাসিনাকে আর দ্বিতীয় আসামি করা হবে ওবায়দুল কাদেরকে।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

আমান বলেন, সরকার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে নতুন নতুন নাটক সৃষ্টি করছে। এসব নাটক জনগণ আর মানবে না। এ সময় গত শনিবারের কর্মসূচি সাধারণ জনগণ সফল করেছে; কোনো প্রবেশ পথ দিয়ে রাজধানীতে গাড়ি প্রবেশ করেনি।

দলের সিনিয়র নেতাদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে আমান বলেন, সবাই মাঠে নামেন। পরশুদিন নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে দেখিয়েছেন। আমরা সফল হয়েছি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনে গুলি করবে। জীবন যেতে পারে। কিন্তু একটা নেতাকর্মীও আপস করবে না। যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের সবাইকে আমরা মুক্ত করবো।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এক দফা এক দাবিতে রাজপথে নেমেছি। আপনারাও মাঠে নামুন, প্রয়োজনে রাস্তায় পড়ে মরে যাব। তবুও তারেক রহমানের বিজয় এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরব। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না।

আমান বলেন, আন্দোলনে ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সারা দেশের নেতাকর্মীদের জেলে আবদ্ধ করা হয়েছে। তাদের আমরা মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে।

বিএনপির কর্মসূচিতে আর যেন লাশ না পড়ে, সেদিকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘আর একটাও যদি একটা লাশ পড়ে, তাহলে প্রথম আসামি শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি ওবায়দুল কাদের, তৃতীয় আসামি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এরপর কারা হবে, সেটা তো বোঝার বাকি নাই।’

এসময় বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি কঠোর কর্মসূচি দিন। আমরা প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত।

হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর ফলের ঝুড়ি পাঠানো প্রসঙ্গে আমান বলেন, আমি ঘুমে ছিলাম। ওষুধ দিয়ে ডাক্তাররা ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। আমার কারও সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু তারা কি নাটক করলো। নাটক করে লাভ নেই। প্রয়োজনে জীবন যাবে কিন্তু আপস করব না। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

জনসমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আন্দোলনে কারও মৃত্যু হলে প্রধান আসামি হবেন শেখ হাসিনা : আমান

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, চলমান আন্দোলনে কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। মামলায় প্রধান আসামি করা হবে শেখ হাসিনাকে আর দ্বিতীয় আসামি করা হবে ওবায়দুল কাদেরকে।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

আমান বলেন, সরকার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে নতুন নতুন নাটক সৃষ্টি করছে। এসব নাটক জনগণ আর মানবে না। এ সময় গত শনিবারের কর্মসূচি সাধারণ জনগণ সফল করেছে; কোনো প্রবেশ পথ দিয়ে রাজধানীতে গাড়ি প্রবেশ করেনি।

দলের সিনিয়র নেতাদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে আমান বলেন, সবাই মাঠে নামেন। পরশুদিন নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে দেখিয়েছেন। আমরা সফল হয়েছি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনে গুলি করবে। জীবন যেতে পারে। কিন্তু একটা নেতাকর্মীও আপস করবে না। যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের সবাইকে আমরা মুক্ত করবো।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এক দফা এক দাবিতে রাজপথে নেমেছি। আপনারাও মাঠে নামুন, প্রয়োজনে রাস্তায় পড়ে মরে যাব। তবুও তারেক রহমানের বিজয় এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরব। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না।

আমান বলেন, আন্দোলনে ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সারা দেশের নেতাকর্মীদের জেলে আবদ্ধ করা হয়েছে। তাদের আমরা মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে।

বিএনপির কর্মসূচিতে আর যেন লাশ না পড়ে, সেদিকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘আর একটাও যদি একটা লাশ পড়ে, তাহলে প্রথম আসামি শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি ওবায়দুল কাদের, তৃতীয় আসামি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এরপর কারা হবে, সেটা তো বোঝার বাকি নাই।’

এসময় বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি কঠোর কর্মসূচি দিন। আমরা প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত।

হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর ফলের ঝুড়ি পাঠানো প্রসঙ্গে আমান বলেন, আমি ঘুমে ছিলাম। ওষুধ দিয়ে ডাক্তাররা ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। আমার কারও সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু তারা কি নাটক করলো। নাটক করে লাভ নেই। প্রয়োজনে জীবন যাবে কিন্তু আপস করব না। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

জনসমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন প্রমুখ।