Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতেই সরকার জঙ্গি নাটক তৈরি করেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্দোলন জয় নিশ্চিত বলে নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতেই সরকার জঙ্গি নাটক তৈরি করেছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন আন্দোলন উঠতে থাকে তখনই জঙ্গি নাটক করতে থাকে তারা। এখন জনগণের চোখ অন্যদিকে প্রবাহিত করতে থাকবে। পশ্চিমা দেশগুলোকে বোঝাবে আমরা না থাকলে জঙ্গির উত্থান ঘটবে। কী নাটক। এ নাটক করে তারা দেশকে গিলে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজই লুট, চুরি করা। তারা এটাতে সফলও হয়েছে। তবে একটা কথা ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তাই নড়তে শুরু করেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের জন্য।

দেশের যে একটা আত্মা থাকে, আওয়ামী লীগ তা নষ্ট করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ এই রাষ্ট্র দখল হয়ে গেছে। কেউ নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে ধরে রেখেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজই লুট, চুরি করা। এরা এটাতে সফলও হয়েছে। তবে একটা কথা, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তাই নড়তে শুরু করেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের জন্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণকে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে বলেন, আপনার মুখে হাসি দেখি কেন সব সময়। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এ পাথর জনগণের ঘাড়ে থেকে সরে যাচ্ছে। জনগন মুক্তি পাচ্ছে একটি ভয়াল থাবা থেকে।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদার জিয়ার চিকিৎসা এ দেশে আর সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলেছেন, তাকে দ্রুত দেশের বাইরে নেওয়া দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়া অনেক অসুস্থ, দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চিকিৎসকরা বলছেন, তারপরও সরকার পাঠাচ্ছে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। জনগণের জয় হবে, ইনশা আল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আত্বাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উঁচু সর্তক বার্তা দিয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কোনো উদ্যাগ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এজন্য দেশের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের যে একটা আত্মা থাকে, সেটাও নষ্ট করা হয়েছে। আমি মনে করি দেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আছেন কারও কোনো যোগ্যতা নেই।

রাজনৈতিক কারণেই আরাফাত রহমান বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো যদি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না। হয়তো একটু কম হতেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো একজন দুর্ভাগ্যবান মানুষ। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া কনিষ্ঠ ছেলে। তিনি রাজনৈতিক কারণেই বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। যদি তাদের সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না । হয়তো একটু কম হতেন। তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতেই সরকার জঙ্গি নাটক তৈরি করেছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্দোলন জয় নিশ্চিত বলে নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতেই সরকার জঙ্গি নাটক তৈরি করেছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন আন্দোলন উঠতে থাকে তখনই জঙ্গি নাটক করতে থাকে তারা। এখন জনগণের চোখ অন্যদিকে প্রবাহিত করতে থাকবে। পশ্চিমা দেশগুলোকে বোঝাবে আমরা না থাকলে জঙ্গির উত্থান ঘটবে। কী নাটক। এ নাটক করে তারা দেশকে গিলে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজই লুট, চুরি করা। তারা এটাতে সফলও হয়েছে। তবে একটা কথা ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তাই নড়তে শুরু করেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের জন্য।

দেশের যে একটা আত্মা থাকে, আওয়ামী লীগ তা নষ্ট করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ এই রাষ্ট্র দখল হয়ে গেছে। কেউ নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে ধরে রেখেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজই লুট, চুরি করা। এরা এটাতে সফলও হয়েছে। তবে একটা কথা, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তাই নড়তে শুরু করেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের জন্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণকে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে বলেন, আপনার মুখে হাসি দেখি কেন সব সময়। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এ পাথর জনগণের ঘাড়ে থেকে সরে যাচ্ছে। জনগন মুক্তি পাচ্ছে একটি ভয়াল থাবা থেকে।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদার জিয়ার চিকিৎসা এ দেশে আর সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলেছেন, তাকে দ্রুত দেশের বাইরে নেওয়া দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়া অনেক অসুস্থ, দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চিকিৎসকরা বলছেন, তারপরও সরকার পাঠাচ্ছে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। জনগণের জয় হবে, ইনশা আল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আত্বাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উঁচু সর্তক বার্তা দিয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কোনো উদ্যাগ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এজন্য দেশের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের যে একটা আত্মা থাকে, সেটাও নষ্ট করা হয়েছে। আমি মনে করি দেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আছেন কারও কোনো যোগ্যতা নেই।

রাজনৈতিক কারণেই আরাফাত রহমান বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো যদি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না। হয়তো একটু কম হতেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো একজন দুর্ভাগ্যবান মানুষ। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া কনিষ্ঠ ছেলে। তিনি রাজনৈতিক কারণেই বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। যদি তাদের সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না । হয়তো একটু কম হতেন। তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন।