Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের অধিনায়ক

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিং। ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে ৫টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। যার ৪টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর একটি ওয়ানডেতে। দলের হয়ে মোট বিশ্বকাপ জিতেছেন ৭টি।

বলা যায়, স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেই আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর খেলা হয়নি তার। অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ড সফরে অপ্রকাশিত স্বাস্থ্যগত সমস্যায় সফর করেননি। তার পর ফিট থেকেও খেলেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। উইমেনস ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ দিয়ে মাঠে ফেরেন যদিও।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ষষ্ঠ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হেক্সা মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন ল্যানিং, যার মধ্যে ল্যানিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪, ২০১৮, ২০২০, ২০২৩—চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ের পাশাপাশি ২০২২ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন ল্যানিং। পাঁচ শিরোপা জিতে পুরুষ-নারী সব ধরনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার এই অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে ৪ আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা জিতে পন্টিং আছেন দুইয়ে। আর মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত জিতেছে ৩টি আইসিসি শিরোপা।

কেপটাউনে এ বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি ল্যানিং। ৩১ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন। প্রায় ১৩ বছর খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল ঠিকই। তবে আমি মনে করছি, এটাই সঠিক সময়। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার উপভোগ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মনে হচ্ছে, নতুন কিছু করার উপযুক্ত সময় এটা। পরিবার, সতীর্থ, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সমর্থনের কারণেই খেলাটাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালোবেসে খেলতে পেরেছি। ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পুরোটা সময় আমার পাশে থেকেছেন।

২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ল্যানিংয়ের। ১০৩ ওয়ানডে, ১৩২ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও ৬ টেস্ট খেলেছেন। ২০১১ সালে ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন ল্যানিং। তাতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ নারী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। ওয়ানডেতে ৫৩.৫১ গড় ও ৯২.২০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৬০২ রান। ১৫ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২১ ফিফটি করেছেন ওয়ানডেতে। কমপক্ষে ৪০০০ রান করেছেন, এমন নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় তাঁরই। টেস্টে ৩১.৩৬ গড়ে করেছেন ৩৪৫ রান। সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেছেন ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে।

খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও একবার কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ল্যানিং। ল্যানিংয়ের প্রশংসা করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেন, মেগের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তারের এক ধারাবাহিকতা তৈরি করেছে। সাত বারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী মেগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছে। ক্রিকেটের সম্ভাব্য সবকিছু সে পেয়েছে। অসাধারণ অবদানের জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের অধিনায়ক

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিং। ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে ৫টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। যার ৪টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর একটি ওয়ানডেতে। দলের হয়ে মোট বিশ্বকাপ জিতেছেন ৭টি।

বলা যায়, স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেই আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর খেলা হয়নি তার। অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ড সফরে অপ্রকাশিত স্বাস্থ্যগত সমস্যায় সফর করেননি। তার পর ফিট থেকেও খেলেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। উইমেনস ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ দিয়ে মাঠে ফেরেন যদিও।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ষষ্ঠ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হেক্সা মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন ল্যানিং, যার মধ্যে ল্যানিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪, ২০১৮, ২০২০, ২০২৩—চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ের পাশাপাশি ২০২২ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন ল্যানিং। পাঁচ শিরোপা জিতে পুরুষ-নারী সব ধরনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার এই অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে ৪ আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা জিতে পন্টিং আছেন দুইয়ে। আর মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত জিতেছে ৩টি আইসিসি শিরোপা।

কেপটাউনে এ বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি ল্যানিং। ৩১ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন। প্রায় ১৩ বছর খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল ঠিকই। তবে আমি মনে করছি, এটাই সঠিক সময়। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার উপভোগ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মনে হচ্ছে, নতুন কিছু করার উপযুক্ত সময় এটা। পরিবার, সতীর্থ, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সমর্থনের কারণেই খেলাটাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালোবেসে খেলতে পেরেছি। ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পুরোটা সময় আমার পাশে থেকেছেন।

২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ল্যানিংয়ের। ১০৩ ওয়ানডে, ১৩২ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও ৬ টেস্ট খেলেছেন। ২০১১ সালে ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন ল্যানিং। তাতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ নারী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। ওয়ানডেতে ৫৩.৫১ গড় ও ৯২.২০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৬০২ রান। ১৫ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২১ ফিফটি করেছেন ওয়ানডেতে। কমপক্ষে ৪০০০ রান করেছেন, এমন নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় তাঁরই। টেস্টে ৩১.৩৬ গড়ে করেছেন ৩৪৫ রান। সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেছেন ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে।

খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও একবার কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ল্যানিং। ল্যানিংয়ের প্রশংসা করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেন, মেগের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তারের এক ধারাবাহিকতা তৈরি করেছে। সাত বারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী মেগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছে। ক্রিকেটের সম্ভাব্য সবকিছু সে পেয়েছে। অসাধারণ অবদানের জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।