নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের আনোয়ারার জুঁইদন্ডী ও রায়পুর ইউনিয়নের মাঝামাঝি সাপমারা খালের ওপর বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে। সোমবার বিকালে জোয়ায়েরর পানির তোড়ে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। জরুরী ভিত্তিতে সাঁকোটি মেরামত না করলে দুই পারের শিক্ষার্থীসহ লোকজনের দূর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জুঁইদন্ডী ও রায়পুর ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এই সাঁকোটি মাঝখানের অংশে ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই নৌকা দিয়ে পার হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানান, খালের উপর ৬৫ মিটার ব্রীজ নির্মাণের প্রকল্প মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর ডিও লেটারসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়াও রায়পুরের বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য জুঁইদন্ডী জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসায় যায়। তাছাড়া দুই ইউনিয়নের লোকজন এই সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে। নির্বাচন এলে প্রার্থীরা স্বপ্ন দেখায়, ওয়াদা করে ভোটে নির্বাচিত হলে এখানে বাঁশের সাঁকোর বদলে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু সেতু নির্মাণের স্বপ্ন অধরা রয়ে গেছে। সেতু নির্মিত না হওয়ায় দুই ইউনিয়নের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে রয়েছে।
জে,কে,এস উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র উর্মি আকতার বলেন, প্রতিদিন সাঁকো দিয়ে সরেঙ্গা থেকে স্কুলে যাতায়াত করতাম। কিন্তু সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ায় স্কুলে যেতে পারতেছি না। সাঁকোটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হব।
সরেঙ্গা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন বলেন, নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা এই সাঁকো নিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখায়, পরে আর খবর থাকেনা, এখন নেতাদের জানালে তাদের শুধু ‘হয়ে যাবে- করে দেব’ এ কথা গুলো আর আমাদের বিশ^াস হয়না। দেশে বড় বড় সেতু-টানেল হচ্ছে কিন্তু আমাদের এই সাঁকো সেতু হয়না।
জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টারমো. ইদ্রীস বলেন, জোয়ারের পানিতে সোমবার সাঁকোটি ভেঙে যায়, জরুরী মেরামত না করলে দুই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়বে।
উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, সাপমারা খালের ওপর ৬৫ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য নতুন করে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সেতু নির্মাণের বরাদ্দের জন্য ‘ডিও লেটার’ দিয়েছে। অনুমোদন এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, সাঁকোটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জুঁইদন্ডী ও রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হবে।