নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন মঞ্জুর করেন নায়িকার।
এদিন সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপর আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদকর্মীদের পরীমণি বলেন, আপনারা রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন সেই ভালোবাসার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিশ্বাস করি আমি ন্যায় বিচার পাব। আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন। এই ভালোবাসা নিয়েই আমি জিততে চাই।
এরপর বলেন, আপনারা সবাই আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। আমার খুব বিশ্বাস ছিল আজ জামিন নিতে আসব এবং জামিন পেয়ে যাব। আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি। এরকম ভালোবাসা নিয়ে জয় নিয়ে যেন শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন।
পরীমণিকে দমানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছেন উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, এটা তো খুবই পরিষ্কার। আমি মামলা করার আড়াই বছর পর পাল্টা মামলা করা হলো। আমাকে দমানোর জন্যই এটা করা হয়েছিল। এটা বিচারাধীন। আমার বিশ্বাস আমি ন্যায় বিচার পাব।
সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, আপনারা সবাই জানেন চার বছর আগের ঘটনা। আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরে শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাব। আমি এখান থেকে আশাহত হতে চাই না। বিশ্বাস রাখতে চাই শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হোক।
মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে অভিনেত্রী পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় চার্জগঠন করে রোববার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আগামী ২০ মার্চ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য আছে।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরীমণি সাভার থানায় নাসিরসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। বর্তমানে এই মামলাটি ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।