Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল। পৃথিবীতে এত দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত নেই। এই অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল, এই অঞ্চলকে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা। আজ এই স্বপ্ন পূরণ হলো। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করলো আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

তিনি আরও বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে, এটা অনেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল। এখন তা বাস্তব। রেলের এই প্রকল্প হবে ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প। রেলে এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসা হবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ-সুন্দরবন থেকেও তো মানুষ আসতে চাইবে। সেই ব্যবস্থাও করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগের সাথে রেল যোগাযোগ চালু হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪৩টি নতুন রেল চালু করা হয়েছে। ১৩৪টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার রেলস্টেশনে ওয়াই-ফাই থাকবে। ট্রেনেও থাকবে ওয়াই-ফাই। যাতে রেলে বসে বসে মানুষ কাজ করতে পারে। আশা করি পর্যটন খাতে বড় ভূমিকা রাখবে এই রেল।

তিনি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। ৮০ মাইল লম্বা, সম্পূর্ণটাই বালুকাময়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দরিদ্র ছিল। পরনে ছিন্ন কাপড়, পেটে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতিত মানুষ।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এ দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায়। অস্ত্র হাতে নিয়ে বন্দুকে নলের সাহায্যে সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা মানুষের ভাগ্য গড়তে আসেনি বরং আমাদের বিজয়ী পতাকা নষ্ট করা, স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা, আমাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধ্বংস করার জন্যই তাদের যাত্রা ছিল। নিজেরা অর্থশালী হয়েছে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, ঋণ খেলাপির কালচার শুরু করেছিল, তার ওপর সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীসহ আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, খুন করেছিল। এখনও সেই পরিবারগুলো তাদের আপনজনকে খুঁজে বেড়ায়। ২১টা বছর লঙ্ঘন মানুষ এভাবে কষ্ট পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি নন। গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হয়নি বলেই ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সারাদেশে অগ্নিসংযোগ করে মানুষের ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানিরা। ধ্বংসের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন জাতির পিতা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলি দিতে রাজি নই। সরকারের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ। সড়ক যোগাযোগ ও মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। রেল সম্পূর্ণ অবহেলিত ছিল। লাভ-লোকসানের হিসাব না করে এগিয়ে নেয় বর্তমান সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের চোখে পড়ে না। আসলে তারা অন্ধ। চোখের চিকিৎসায় আধুনিক চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় সেখানে চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করবো, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের অন্ধকার। এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা ধ্বংস জানে, সৃষ্টি জানে না। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছি। বড় বাজেট দিয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এজন্য সবাইকে বলবো, যতটুকু জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু চাষাবাদ করুন। নিজের খাদ্য সামগ্রী নিজে উৎপাদন করুন। তাহলে আমরা হতে পারবো স্বনির্ভর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১১ বছর পর ইরাকের মসুল বিমানবন্দর আবার চালু

আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল। পৃথিবীতে এত দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত নেই। এই অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল, এই অঞ্চলকে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা। আজ এই স্বপ্ন পূরণ হলো। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করলো আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

তিনি আরও বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে, এটা অনেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল। এখন তা বাস্তব। রেলের এই প্রকল্প হবে ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প। রেলে এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসা হবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ-সুন্দরবন থেকেও তো মানুষ আসতে চাইবে। সেই ব্যবস্থাও করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগের সাথে রেল যোগাযোগ চালু হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪৩টি নতুন রেল চালু করা হয়েছে। ১৩৪টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার রেলস্টেশনে ওয়াই-ফাই থাকবে। ট্রেনেও থাকবে ওয়াই-ফাই। যাতে রেলে বসে বসে মানুষ কাজ করতে পারে। আশা করি পর্যটন খাতে বড় ভূমিকা রাখবে এই রেল।

তিনি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। ৮০ মাইল লম্বা, সম্পূর্ণটাই বালুকাময়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দরিদ্র ছিল। পরনে ছিন্ন কাপড়, পেটে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতিত মানুষ।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এ দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায়। অস্ত্র হাতে নিয়ে বন্দুকে নলের সাহায্যে সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা মানুষের ভাগ্য গড়তে আসেনি বরং আমাদের বিজয়ী পতাকা নষ্ট করা, স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা, আমাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধ্বংস করার জন্যই তাদের যাত্রা ছিল। নিজেরা অর্থশালী হয়েছে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, ঋণ খেলাপির কালচার শুরু করেছিল, তার ওপর সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীসহ আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, খুন করেছিল। এখনও সেই পরিবারগুলো তাদের আপনজনকে খুঁজে বেড়ায়। ২১টা বছর লঙ্ঘন মানুষ এভাবে কষ্ট পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি নন। গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হয়নি বলেই ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সারাদেশে অগ্নিসংযোগ করে মানুষের ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানিরা। ধ্বংসের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন জাতির পিতা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলি দিতে রাজি নই। সরকারের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ। সড়ক যোগাযোগ ও মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। রেল সম্পূর্ণ অবহেলিত ছিল। লাভ-লোকসানের হিসাব না করে এগিয়ে নেয় বর্তমান সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের চোখে পড়ে না। আসলে তারা অন্ধ। চোখের চিকিৎসায় আধুনিক চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় সেখানে চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করবো, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের অন্ধকার। এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা ধ্বংস জানে, সৃষ্টি জানে না। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছি। বড় বাজেট দিয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এজন্য সবাইকে বলবো, যতটুকু জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু চাষাবাদ করুন। নিজের খাদ্য সামগ্রী নিজে উৎপাদন করুন। তাহলে আমরা হতে পারবো স্বনির্ভর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন।