Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগে সংস্কার তার পর নির্বাচন : চরমোনাই পীর

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

‘আগে সংস্কার তার পর নির্বাচন’ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখনই হোক না কেন তার আগে সংস্কার করা জরুরি।’

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে দলটির বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, সংসদ নির্বাচন যখনই হোক তার আগে সংস্কার জরুরি। সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই করতে হবে।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনসহ তাদের কুরআন সুন্নাহ বিরোধী প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলাম বিরোধী নারী নীতিমালা বাতিল করে শাপলা চত্বরে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের নীতিমালা ইসলাম বিরোধী। কুরআন সুন্নাহ বিরোধী সকল প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণ হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ বায়েজয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০১৩ সালের মে ঢাকার শাপলা চত্বরে গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, গত জুলাই-আগস্টসহ বিগত পনের বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধের ব্যাপকতা ও মাত্রা এত বেশি যে, আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটি বরং ভয়ংকর অপরাধীদের একটি অপরাধচক্র। তাই তাদের রাজনীতি করতে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাদের রাজনীতি করতে দেওয়ার মানে একটি ভয়ংকর অপরাধীচক্রকে আবারও নির্মমতা চালানোর সুযোগ করে দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর সাম্রাজ্যবাদীদের পাঁয়তারা। অথচ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

‘ফিলিস্তিনে ইসরাইল যে মানব ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ এ নিয়ে কাগুজে বিবৃতি ছাড়া ইসরাইলকে বিরত রাখার জন্য কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মোদি সরকার ভারতে মুসলমান, মাদ্রাসা এবং মসজিদের ওপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায় এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে।’

জেলা সভাপতি আ ন ম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, ইসলামী আন্দোলন নেতা মাওলানা আব্দুল মতিন, সহকারী অধ্যাপক মুফতি ইমদাদুল হক, মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ, মুহাম্মাদ শাহিন আলম, মুহাম্মাদ সোহরাব হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিক, প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, মাওলানা আলতাব আলী, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, আলহাজ্ব আব্দুর রউফ রাজু, মুহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন মন্টু, মুহাম্মাদ নাঈম হাসান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

আগে সংস্কার তার পর নির্বাচন : চরমোনাই পীর

প্রকাশের সময় : ১০:১৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

‘আগে সংস্কার তার পর নির্বাচন’ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখনই হোক না কেন তার আগে সংস্কার করা জরুরি।’

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে দলটির বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, সংসদ নির্বাচন যখনই হোক তার আগে সংস্কার জরুরি। সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই করতে হবে।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনসহ তাদের কুরআন সুন্নাহ বিরোধী প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলাম বিরোধী নারী নীতিমালা বাতিল করে শাপলা চত্বরে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের নীতিমালা ইসলাম বিরোধী। কুরআন সুন্নাহ বিরোধী সকল প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণ হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ বায়েজয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০১৩ সালের মে ঢাকার শাপলা চত্বরে গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, গত জুলাই-আগস্টসহ বিগত পনের বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধের ব্যাপকতা ও মাত্রা এত বেশি যে, আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটি বরং ভয়ংকর অপরাধীদের একটি অপরাধচক্র। তাই তাদের রাজনীতি করতে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাদের রাজনীতি করতে দেওয়ার মানে একটি ভয়ংকর অপরাধীচক্রকে আবারও নির্মমতা চালানোর সুযোগ করে দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর সাম্রাজ্যবাদীদের পাঁয়তারা। অথচ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

‘ফিলিস্তিনে ইসরাইল যে মানব ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ এ নিয়ে কাগুজে বিবৃতি ছাড়া ইসরাইলকে বিরত রাখার জন্য কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মোদি সরকার ভারতে মুসলমান, মাদ্রাসা এবং মসজিদের ওপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায় এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে।’

জেলা সভাপতি আ ন ম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, ইসলামী আন্দোলন নেতা মাওলানা আব্দুল মতিন, সহকারী অধ্যাপক মুফতি ইমদাদুল হক, মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ, মুহাম্মাদ শাহিন আলম, মুহাম্মাদ সোহরাব হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিক, প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, মাওলানা আলতাব আলী, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, আলহাজ্ব আব্দুর রউফ রাজু, মুহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন মন্টু, মুহাম্মাদ নাঈম হাসান।