নিজস্ব প্রতিবেদক :
আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় নব-নির্মিত ৭২ কিমি. রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাবল লাইন এ রেলপথটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার অংশে আগে একটি রেললাইন ছিল। এখন তা দুই লেন করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আন্তঃনগর ট্রেনের যাতায়াত সময় পৌনে এক ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা কমবে। এ লাইনে এক সময় শুধু মিটারগেজ ট্রেন চলতে পারত। তবে দুই লেন চালু হওয়ার পর থেকে সেখানে মিটারগেজের পাশাপাশি ব্রডগেজ ট্রেনও চলতে পারবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩২১ কিমি রেলপথের ১১৮ কিমি আগে থেকেই ডাবল লাইন ছিল। দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩১ কিমি রেলপথ ডাবল লাইন করা হয়েছে। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত বাকি ৭২ কিমি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন প্রকল্পটি শেষ হওয়াতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অবধি পুরো রেলপথটি ডাবল লাইন হয়ে গেল।
দেশের প্রধান রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দিনে ২৩টি ট্রেন চলাচল করে। ডাবললাইনে উন্নীত হওয়ায় ৭২টি ট্রেন চলতে পারবে।
আখাউড়া-লাকসাম রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৪ সালে অনুমোদন দেয়। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ হয় ২০১৬ সালের ১৫ জুনে। তারপর প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে এবং তা ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে কাজ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্ধিত এই সময়েও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। পরে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সেটাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
আখাউড়া-লাকসাম অংশ ডাবল লাইনে উন্নীত করতে ২০১৪ সালে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। ২০২০ সালে কাজ সমাপ্তের লক্ষ্য ছিল। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্প ব্যয় কমেছে। সংশোধিত ডিপিপিতে (আরডিপিপি) প্রকল্প ব্যয় পাঁচ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। খরচ ৯২১ কোটি টাকা কমেছে।