নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিলে দেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা: আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে গণতন্ত্র হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এটিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেই দায়ে তাদের বিচার করতে হবে।’
হাসনাত বলেন, সংবিধানকে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থান হয়েছে। ৫ আগস্টের পর সে সংবিধানকে স্বীকৃতি দেয়াই বড় ভুল। ৭২-এর সংবিধান এখন অপ্রাসঙ্গিক।
শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দরকার নেই, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা দরকার উল্লেখ করে সমন্বয়ক বলেন, মত আগেও প্রকাশ করা যেত, তবে সেটা ছিল সহমত। তাই আমরা শুধু মত নয়, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই।
হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগের করা আইন দিয়েই তাদের বিচার করা সম্ভব। দ্রুত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। পাশাপাশি যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহায়তার করতে হবে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচার ব্যবস্থা, মিডিয়া, গণতন্ত্রসহ সব সেক্টরকে গুরুত্বহীন করা হয়েছিল। ৭২-এর সংবিধানের দোহাই দিয়ে শেখ হাসিনা অনেক অপকর্ম করেছে। সর্বদলীয় রাজনৈতিক দলের সহমতের ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন প্রয়োজন।
তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
সভায় অপর সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা সেলের মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যা সাধারণ অনেক মানুষ তা যাচাই করার সুযোগ না পেয়ে বিশ্বাস করছে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তাদের অনেকেই ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে একটি নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।