Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশের কাউকে সহ্য করতে পারে না : মির্জা ফখরুল

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশের কাউকে সহ্য করতে পারে না। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এই কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কারান্তরীণ। সর্বশেষ হিরো আলমকেও সরকার সহ্য করতে পারছে না। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে, কি লজ্জা!

বুধবার (১৯ জুলাই) দিনাজপুরে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় পদযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে। এই ভোট চোর সরকারকে আর বাংলার মানুষ দেখতে চায় না। মানুষ জেগে উঠেছে। তারা এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে।

‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ এই স্লোগানকে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষকে হত্যা আর গুমের রাজত্ব কায়েম করে এই অবৈধ আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। আর বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। দেশের মানুষ দেশের মাটিকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলনে নেমেছে। মা, মাটি ও দেশকে উদ্ধার করেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল গঠন করেছিল। সেই পুরাতন স্টাইলে আবার বাকশাল তৈরি করে মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। বিএনপির পদযাত্রা সমাবেশে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকে কয়েকটি বাসযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিতে আসার সময় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালিয়ে ৫০ থেকে ৬০ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন। এতে করে ছাত্রলীগ কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে।

তিনি  বলেন, সাধারণ মানুষ আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করছে। এই আন্দোলন বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের আন্দোলন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তিসহ রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির আজকের পদযাত্রায় লাখ লাখ মানুষ আসবে, এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। আজ হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশ হচ্ছে। পদত্যাগ না করলে এই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে না। তখন পালানোর রাস্তা থাকবে না। লক্ষ্মীপুরে কৃষক দলের সজিব হোসেন নিহত হয়েছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ২০ জুলাই সারাদেশে শোকর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এরা মারবে, ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে কিছু টিকে থাকতে পারে না। তাই রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ তুলে বলেন, আওয়ামী লীগ আগে বিএনপিকে সহ্য করতে পারতো না, এখন তারা হিরো আলমকেও সহ্য করতে পারছে না। কী লজ্জা, কী লজ্জা। কাউকেই তারা সহ্য করতে পারে না। ৩৬ দলের একটাই ঘোষণা, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়। আগে ঘোষণা দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল, এখন গণতন্ত্রের মোড়ক সামনে রেখে বাকশাল কায়েম করেছে। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে রংপুর বিভাগের কৃষক দল, শ্রমিক দল, জাসাস, জাতিজম ও মৎস্যজীবী দল আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন দুলাল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর) অধ্যক্ষ আহসান হাবিব দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান পলাশ বিশ্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হাসান প্রমুখ।

পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়। শহরের লিলির মোড়, মুন্সিপাড়া, নিমতলা মোড়, মর্ডান মোড় হয়ে পুনরায় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে পদযাত্রাটি শেষ হয়।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশের কাউকে সহ্য করতে পারে না : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশের কাউকে সহ্য করতে পারে না। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এই কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কারান্তরীণ। সর্বশেষ হিরো আলমকেও সরকার সহ্য করতে পারছে না। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে, কি লজ্জা!

বুধবার (১৯ জুলাই) দিনাজপুরে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় পদযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে। এই ভোট চোর সরকারকে আর বাংলার মানুষ দেখতে চায় না। মানুষ জেগে উঠেছে। তারা এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে।

‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ এই স্লোগানকে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষকে হত্যা আর গুমের রাজত্ব কায়েম করে এই অবৈধ আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। আর বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। দেশের মানুষ দেশের মাটিকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলনে নেমেছে। মা, মাটি ও দেশকে উদ্ধার করেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল গঠন করেছিল। সেই পুরাতন স্টাইলে আবার বাকশাল তৈরি করে মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। বিএনপির পদযাত্রা সমাবেশে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকে কয়েকটি বাসযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিতে আসার সময় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালিয়ে ৫০ থেকে ৬০ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন। এতে করে ছাত্রলীগ কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে।

তিনি  বলেন, সাধারণ মানুষ আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করছে। এই আন্দোলন বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের আন্দোলন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তিসহ রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির আজকের পদযাত্রায় লাখ লাখ মানুষ আসবে, এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। আজ হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশ হচ্ছে। পদত্যাগ না করলে এই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে না। তখন পালানোর রাস্তা থাকবে না। লক্ষ্মীপুরে কৃষক দলের সজিব হোসেন নিহত হয়েছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ২০ জুলাই সারাদেশে শোকর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এরা মারবে, ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে কিছু টিকে থাকতে পারে না। তাই রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ তুলে বলেন, আওয়ামী লীগ আগে বিএনপিকে সহ্য করতে পারতো না, এখন তারা হিরো আলমকেও সহ্য করতে পারছে না। কী লজ্জা, কী লজ্জা। কাউকেই তারা সহ্য করতে পারে না। ৩৬ দলের একটাই ঘোষণা, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়। আগে ঘোষণা দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল, এখন গণতন্ত্রের মোড়ক সামনে রেখে বাকশাল কায়েম করেছে। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে রংপুর বিভাগের কৃষক দল, শ্রমিক দল, জাসাস, জাতিজম ও মৎস্যজীবী দল আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন দুলাল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর) অধ্যক্ষ আহসান হাবিব দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান পলাশ বিশ্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হাসান প্রমুখ।

পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়। শহরের লিলির মোড়, মুন্সিপাড়া, নিমতলা মোড়, মর্ডান মোড় হয়ে পুনরায় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে পদযাত্রাটি শেষ হয়।