Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে আলোচনা করেও প্রতারণা করেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে আলোচনা করেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই এই সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা হতে পারে না বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ২০১৮ সালের সংলাপে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে আনলেও রাতে ভোট কারচুপি করে জিতেছে। তাই এবার তাদের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র, বিশেষ করে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলের নেতাদের সাজার নির্দেশ দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন চায় মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আদালত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, বিশেষ করে দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা দিলেও সরকার জোর করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তাই সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা হতে পারে না। কারণ, তারা অতীতে আলোচনা করেও প্রতারণা করেছে।

ফখরুল বলেন, ইসরাইলের সহায়তায় প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার বিরোধীদলীয় নেতাদের অবস্থান হ্যাক করে প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নষ্ট করছে।’

আওয়ামী লীগকে ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট পার্টি’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ লুটপাট করছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট করে সরকারের লোকজন বিদেশে টাকা পাচার করছে। সরকারের কারণে দেশের মানুষ বিশেষ ভিসা নীতির আওতায় এসেছে, দেশের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভয়াবহ লুটপাটের কারণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই আওয়ামী লীগের নাম দিয়েছিলেন নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি। এরা এখনও ভয়াবহ লুটপাট করছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, সাংবিধানিকভাবে এই সরকার অবৈধ। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাব, গণতন্ত্র ও দেশকে বাঁচাতে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সরানোর জন্য কোনো দ্বন্দ্ব, দ্বিধা বা কালবিলম্ব না করে এখনই সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে আলোচনা করেও প্রতারণা করেছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে আলোচনা করেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই এই সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা হতে পারে না বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ২০১৮ সালের সংলাপে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে আনলেও রাতে ভোট কারচুপি করে জিতেছে। তাই এবার তাদের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র, বিশেষ করে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলের নেতাদের সাজার নির্দেশ দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন চায় মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আদালত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, বিশেষ করে দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা দিলেও সরকার জোর করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তাই সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা হতে পারে না। কারণ, তারা অতীতে আলোচনা করেও প্রতারণা করেছে।

ফখরুল বলেন, ইসরাইলের সহায়তায় প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার বিরোধীদলীয় নেতাদের অবস্থান হ্যাক করে প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নষ্ট করছে।’

আওয়ামী লীগকে ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট পার্টি’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ লুটপাট করছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট করে সরকারের লোকজন বিদেশে টাকা পাচার করছে। সরকারের কারণে দেশের মানুষ বিশেষ ভিসা নীতির আওতায় এসেছে, দেশের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভয়াবহ লুটপাটের কারণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই আওয়ামী লীগের নাম দিয়েছিলেন নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি। এরা এখনও ভয়াবহ লুটপাট করছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, সাংবিধানিকভাবে এই সরকার অবৈধ। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাব, গণতন্ত্র ও দেশকে বাঁচাতে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সরানোর জন্য কোনো দ্বন্দ্ব, দ্বিধা বা কালবিলম্ব না করে এখনই সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।