নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারের নানান উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। এটি আজকের প্রমাণিত সত্য।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। যার মধ্য দিয়ে আজকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। শিক্ষার আলো জ্বলেছে সব ঘরে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে। মানুষের যাতায়াতের সুবিধা করে দিয়েছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। গ্রামপর্যায়ে পর্যন্ত ওয়াইফাই কানেকশন দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, হাতে হাতে মোবাইল ব্যবহার রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে দেশ আরও উন্নত সমৃদ্ধ হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি আমাদের গড়ে উঠবে। আমার দেশ এগিয়ে যাবে। কৃষি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ অগ্রগতি ভূমিকা পালন করছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে যে মর্যাদার আসন অর্জন করেছে, সেই অর্জন ধরে রেখেই বিশ্বে আরও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে, সেটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বে যে মর্যাদার আসন অর্জন করেছে, সেই অর্জন ধরে রেখেই বিশ্বে আরও উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে, সেটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এ দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিসাৎ করেছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াতসহ, যারা স্বাধীনতার চেতনা বিশ্বাস করে না, তারা এদেশকে ধ্বংস করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। এটি আজকের প্রমাণিত সত্য।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে এ দেশ আরও উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে উঠবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াতসহ যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা এ দেশ ধ্বংস করবে। এদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে বলে মন্তব্য করে টানা তিনবারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদা পেয়েছে। যেখানে একটি দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশ হিসেবে আমাদের দেশকে করুণার চোখে দেখা হতো, আজ বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেই যাক, সেখানে সম্মানের চোখে দেখে। এ সম্মান এনে দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল, আমরা সরকার গঠন করেছি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ নৌকায় মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের আবার দায়িত্ব দেয়।
টানা তিন মেয়াদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩, বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ছিল ৪১ ভাগ, তা নেমে এসেছে ১৮ ভাগে। অতিদরিদ্র ২৫ ভাগের ওপরে ছিল, তা ৫ ভাগে নেমে এসেছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, শিশুমৃত্যু হার কমেছে, মানুষের আয়ু বেড়েছে, বাংলাদেশ অবকাঠামোগত উন্নয়নে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন কারাগারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের দাবি সমর্থন করতে গিয়ে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। বন্দি অবস্থায় তাকে দলের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে, যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে, শিক্ষার আলো জ্বেলেছে সব ঘরে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি, সমগ্র বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড কানেকশন দিয়েছি। ৃকৃষি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে অর্জন করেছে সেটা ধরে রেখে সারা বিশ্বে আরও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে, বিজয় অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ এর জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র, ঘাতকের দল অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল। তারা স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিসাৎ করেছিল, আবার আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, তখনই এদেশের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ মর্যাদা পেয়েছে। যেখানে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসেবে মানুষ করুণার চোখে দেখত, আজকে বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানের চোখে দেখে। এই সম্মান এনে দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই এদেশ আরও উন্নত সমৃদ্ধ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনগণ গড়ে উঠবে এবং আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে।
এর আগে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলুন ও পায়রা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সূর্যোদয়ের সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।