নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই জনগণের মধ্যে হাহাকার তৈরি হয়। মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরে। সব সময়ই তারা লুটপাট করে মানুষের সব অধিকার হরণ করে। সারাবিশ্বে রমজানে জিনিস পত্রের দাম কমে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ রমজানের আগেই সিন্ডিকেট করে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা।
যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, গত কয়েকদিন গ্রামীণ ভবনের আটটি প্রতিষ্ঠান সরকার দলীয় গুন্ডা-পান্ডা দিয়ে দখল করানো হয়েছে। এখন সেসব প্রতিষ্ঠানের সঞ্চিত অর্থ লুট করার আয়োজন চলছে। আওয়ামী দখলদারদের হাতে দেশ পরাধীন হয়ে যাওয়ার পরে কোনো প্রতিষ্ঠান আর স্বাধীনভাবে পরিচালনা করা যাবে না।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, সরকার নিজ দেশের স্বার্থ ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনকে কোনো রকম অগ্রাধিকার না দিয়েই ৩৫০ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীকে ফেরত দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে চলা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো দায় এসব পুলিশ, সেনা সদস্যদের ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়নি যা একটা অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতিরই বহিঃপ্রকাশ। মিয়ানমারের জেলে অনেক বাংলাদেশি জেলে আটক আছে, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সমঝোতা হতে পারতো। আবার বাংলাদেশের কারাগারে শতাধিক মিয়ানমারের নাগরিক বন্দি আছে, যাদের মিয়ানমারের সামরিক সরকার ফেরত নিচ্ছে না। সে ব্যাপারেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলো না।
শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর ছাত্রলীগের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সব ক্যাম্পাস থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে অস্ত্রের জোরে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ। এখন তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এর মূলে আছে মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং ছাত্রী ও নারীদের সম্ভ্রম লুন্ঠনের মানবতাবিরোধী অপকর্মের প্রতিযোগিতা।
সরকারি দল আওয়ামী লীগকে লুটেরা এবং ছাত্রলীগকে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী দল হিসেবে উল্লেখ মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা একদিকে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আর ছাত্রলীগ নেতারা আছেন নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠনের সেঞ্চুরী উদযাপনে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগকে লুটেরা এবং ছাত্রলীগকে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী দল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব স্তরে এ দলের নেতাদের ‘সভ্যতার জন্য বৈরী’ ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার সব অঙ্গীকার আওয়ামী লীগ ভঙ্গ করেছে। সারাবাংলার কৃষক যা উৎপাদন করে তার মূল্য সে পায় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের গুন্ডা-পান্ডারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজি করে। তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আর থাকছে না।
তিনি বলেন, ‘আমদানিকৃত সব পণ্য আওয়ামী সিন্ডিকেটের দখলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল দখল শুধু নয় সেখানে আজ আমাদের ছাত্রী বোনেরাও সম্ভ্রম নিয়ে টিকে থাকতে পারছে না। ছাত্রলীগের গুন্ডারা স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন করছে, চোরের মতো ঘরে ঢুকে নারী নির্যাতন চালাচ্ছে। এ সমস্ত অপকর্ম চলতে দেওয়া হবে না।
এ সময় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।