Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী জামানায় এমপি বা মন্ত্রীত্ব যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’ : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী জামানায় এমপি বা মন্ত্রীত্ব যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’। গত দেড় দশকে বিনা ভোটের রাজত্বে সরকারের মন্ত্রী-এমপি-বড় নেতা, পাতি নেতা সবাই লুটপাটের প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়েছেন। দুর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্যের স্বর্গ গড়েছেন তারা। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিএনপি নাকি আগামী মার্চ মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে! কী হাস্যকর রঙ্গ-ব্যঙ্গ! আসন্ন একদলীয় পাতানো নির্বাচন উপলক্ষে তাদের মন্ত্রী-এমপি-ডামি-উচ্ছিষ্টভাগী স্বতন্ত্রদের হলফনামা পড়লে মনে হয় যেন রুপকথার আলাদিনের চেরাগের কাহিনি পড়ছি।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের নেতারা অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অনেকে প্রায় কপর্দকহীন থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছেন। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শাশুড়িরাও টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের লোকসান হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকদের কোনো লোকসান নেই। আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই এবং লোকসানেরও আশঙ্কা নেই। যে ব্যবসায় করছেন তাতেই লাভ আর লাভ। শেয়ার ব্যবসায় তারা কেউ ক্ষতির মুখোমুখি হননি। কৃষিখামার এবং মাছের ব্যবসাতেও বহু গুণ লাভ করেছেন। স্বামীদের ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকা, অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে দেশকে লুটপাট করে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে। ফের লুটের শাসন স্থায়ী করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গুম, খুন ও হামলা মামলায় গ্রেপ্তার ও মিথ্যা সাজা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একতরফা নির্বাচনের নাটক ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে অন্ধ হয়ে পড়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ হচ্ছে চোরের ফ্যাক্টরি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন তার ছোট্ট উদাহরণ। প্রতিটি মন্ত্রী-এমপির বিমূর্ত অবয়ব তিনি।

তিনি বলেন, হলফনামা ধরে প্রতিদিন সংবাদপত্রে নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের যে বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে তা দেখে জনগণের চক্ষু চড়ক-গাছের অবস্থা। তারা ভাবতে থাকে, আমরা কি একটা বাস্তব জগতে বাস করছি? নাকি কল্পনার স্বর্গরাজ্যে বাস করছি! এটাও সম্ভব! একেকজন মানুষের সম্পদ ২০০ গুণ, ৩০০ গুণ, ৪০০ গুণ ৫০০ গুন, কেউ আবার পাঁচ বছরে ৭০০ গুণ সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে, টাকার পাহাড়ে ঘুমান মন্ত্রী এমপি-নেতারা। দশ বছর আগে যে মন্ত্রীর হলফনামায় হাজারের ঘরে ছিল বার্ষিক আয় তিনিও এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। সবাই জানে তাদের হলফনামায় সম্পদের সামান্যই প্রকাশ পেয়েছে। এমপি-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরাও অনেক তথ্য গোপন করছেন।

রিজভী বলেন, যিনি সারাক্ষণ নীতি নৈতিকতার ছবক দেন, সেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আঙুল ফুলে হয়েছেন বটগাছ। ১০ বছর আগের হলফনামায় দেওয়া নগদ ৫ লাখ টাকা এখন পরিণত হয়েছে নগদ ১১ কোটি টাকায়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সম্পদ বেড়েছে ৯৮ গুণ। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরির সম্পদ বেড়েছে ৪৯৭ গুণ।

তিনি বলেন, অর্থ বিত্ত সম্পদের ছিটেফোটার হিসাব দিলেও কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি তাদের হলফনামায় দেশকে শায়েস্তা খা’র আমলে ফিরিয়ে নিয়েছেন। যে শাসনামলে টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেতো। লুটের অর্থ সম্পদ কম দেখাতে তাদের প্রায় সকলেই গাড়ি, বাড়ি, জমি-জিরাত-খামার-বাড়িভাড়া,সোনা-দানা-অলংকারসহ সবকিছুর মূল্য অতি সামান্য দেখিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তারা এখনও শায়েস্তা খা’র আমলে বাস করছেন। তবে লাফিয়ে লাফিয়ে সম্পদ ও নগদ অর্থ বৃদ্ধির পেছনে আয়ের উৎসগুলো যে দুর্নীতি লুটপাট তা জনগণ ওয়াকেফহাল।

রিজভী আরও বলেন, বাস্তবতা হলো মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের এই সম্পদ-এই টাকার পাহাড় কীভাবে গড়ে উঠেছে আয়ের উৎস কী এইসব নিয়ে জবাবদিহিতা নেওয়ার কেউ নেই। কারণ সবকিছু আওয়ামীময়-নষ্টদের অধিকারে। তারা জনগণের সম্পদ চেটেপুটে খেয়ে পেট মোটা করতে এসেছেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ গুমরে মরছে। প্রকাশের সাহস পায় না কেউ। এসব দুর্নীতি লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক নামে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু দুদককে দলকানা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যাদের কাজ হলো খুঁজে খুঁজে বিএনপি এবং ভিন্নমতের সম্মানিত লোকদের ঘায়েল করা। রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে এই তথাকথিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, মোট গ্রেপ্তার ৩৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী, ৯টি মামলায় আসামি ৯২৮ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত অর্ধশতাধিক। গত ১৫ নভেম্বর তপশিল ঘোষণার পর থেকে মোট গ্রেপ্তার ৯৪৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, ৩৩৯টি মামলায় আসামি ৩৭৬১৩ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত ১৩৭৭ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মোট মৃত্যু ৮ জন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আওয়ামী জামানায় এমপি বা মন্ত্রীত্ব যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’ : রিজভী

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী জামানায় এমপি বা মন্ত্রীত্ব যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’। গত দেড় দশকে বিনা ভোটের রাজত্বে সরকারের মন্ত্রী-এমপি-বড় নেতা, পাতি নেতা সবাই লুটপাটের প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়েছেন। দুর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্যের স্বর্গ গড়েছেন তারা। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিএনপি নাকি আগামী মার্চ মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে! কী হাস্যকর রঙ্গ-ব্যঙ্গ! আসন্ন একদলীয় পাতানো নির্বাচন উপলক্ষে তাদের মন্ত্রী-এমপি-ডামি-উচ্ছিষ্টভাগী স্বতন্ত্রদের হলফনামা পড়লে মনে হয় যেন রুপকথার আলাদিনের চেরাগের কাহিনি পড়ছি।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের নেতারা অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অনেকে প্রায় কপর্দকহীন থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছেন। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শাশুড়িরাও টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের লোকসান হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকদের কোনো লোকসান নেই। আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই এবং লোকসানেরও আশঙ্কা নেই। যে ব্যবসায় করছেন তাতেই লাভ আর লাভ। শেয়ার ব্যবসায় তারা কেউ ক্ষতির মুখোমুখি হননি। কৃষিখামার এবং মাছের ব্যবসাতেও বহু গুণ লাভ করেছেন। স্বামীদের ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকা, অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে দেশকে লুটপাট করে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে। ফের লুটের শাসন স্থায়ী করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গুম, খুন ও হামলা মামলায় গ্রেপ্তার ও মিথ্যা সাজা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একতরফা নির্বাচনের নাটক ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে অন্ধ হয়ে পড়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ হচ্ছে চোরের ফ্যাক্টরি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন তার ছোট্ট উদাহরণ। প্রতিটি মন্ত্রী-এমপির বিমূর্ত অবয়ব তিনি।

তিনি বলেন, হলফনামা ধরে প্রতিদিন সংবাদপত্রে নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের যে বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে তা দেখে জনগণের চক্ষু চড়ক-গাছের অবস্থা। তারা ভাবতে থাকে, আমরা কি একটা বাস্তব জগতে বাস করছি? নাকি কল্পনার স্বর্গরাজ্যে বাস করছি! এটাও সম্ভব! একেকজন মানুষের সম্পদ ২০০ গুণ, ৩০০ গুণ, ৪০০ গুণ ৫০০ গুন, কেউ আবার পাঁচ বছরে ৭০০ গুণ সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে, টাকার পাহাড়ে ঘুমান মন্ত্রী এমপি-নেতারা। দশ বছর আগে যে মন্ত্রীর হলফনামায় হাজারের ঘরে ছিল বার্ষিক আয় তিনিও এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। সবাই জানে তাদের হলফনামায় সম্পদের সামান্যই প্রকাশ পেয়েছে। এমপি-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরাও অনেক তথ্য গোপন করছেন।

রিজভী বলেন, যিনি সারাক্ষণ নীতি নৈতিকতার ছবক দেন, সেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আঙুল ফুলে হয়েছেন বটগাছ। ১০ বছর আগের হলফনামায় দেওয়া নগদ ৫ লাখ টাকা এখন পরিণত হয়েছে নগদ ১১ কোটি টাকায়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সম্পদ বেড়েছে ৯৮ গুণ। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরির সম্পদ বেড়েছে ৪৯৭ গুণ।

তিনি বলেন, অর্থ বিত্ত সম্পদের ছিটেফোটার হিসাব দিলেও কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি তাদের হলফনামায় দেশকে শায়েস্তা খা’র আমলে ফিরিয়ে নিয়েছেন। যে শাসনামলে টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেতো। লুটের অর্থ সম্পদ কম দেখাতে তাদের প্রায় সকলেই গাড়ি, বাড়ি, জমি-জিরাত-খামার-বাড়িভাড়া,সোনা-দানা-অলংকারসহ সবকিছুর মূল্য অতি সামান্য দেখিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তারা এখনও শায়েস্তা খা’র আমলে বাস করছেন। তবে লাফিয়ে লাফিয়ে সম্পদ ও নগদ অর্থ বৃদ্ধির পেছনে আয়ের উৎসগুলো যে দুর্নীতি লুটপাট তা জনগণ ওয়াকেফহাল।

রিজভী আরও বলেন, বাস্তবতা হলো মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের এই সম্পদ-এই টাকার পাহাড় কীভাবে গড়ে উঠেছে আয়ের উৎস কী এইসব নিয়ে জবাবদিহিতা নেওয়ার কেউ নেই। কারণ সবকিছু আওয়ামীময়-নষ্টদের অধিকারে। তারা জনগণের সম্পদ চেটেপুটে খেয়ে পেট মোটা করতে এসেছেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ গুমরে মরছে। প্রকাশের সাহস পায় না কেউ। এসব দুর্নীতি লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক নামে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু দুদককে দলকানা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যাদের কাজ হলো খুঁজে খুঁজে বিএনপি এবং ভিন্নমতের সম্মানিত লোকদের ঘায়েল করা। রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে এই তথাকথিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, মোট গ্রেপ্তার ৩৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী, ৯টি মামলায় আসামি ৯২৮ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত অর্ধশতাধিক। গত ১৫ নভেম্বর তপশিল ঘোষণার পর থেকে মোট গ্রেপ্তার ৯৪৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, ৩৩৯টি মামলায় আসামি ৩৭৬১৩ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত ১৩৭৭ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মোট মৃত্যু ৮ জন।