Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে : জয়নুল আবদিন ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে। যাতে আর কখনও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

সংস্কার নিয়ে দেরি না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে শিগগির নির্বাচন কমিশন সংস্কার করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, অতি দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের জন্য তৈরি করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করুন। নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করে এমন নির্বাচেনব্যবস্থা গঠন করতে হবে, যাতে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন নির্বাচন কমিশন, যারা সকালে বলে ৩০ শতাংশ, আরেক সময় বলে ৪০ শতাংশ আবার বিকেলে বলে ৫০ শতাংশ। এমন নির্বাচন কমিশন যেন আর না হয়। বাংলার মানুষ এমন নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়, যে নির্বাচন কমিশন ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী করেছে। এখন এমন নির্বাচন কমিশন চাই, যেখানে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘তারেক রহমানের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এখনো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছে। তাদের মামলা কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না, তা জনগণের জানার অধিকার আছে।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা যেন আর বাংলাদেশে ফিরে না আসে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁকে সাজা দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের এখন সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আর এর পেছনে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা জড়িত। তারা আলু সিন্ডিকেট করেছে, পেঁয়াজ সিন্ডিকেট করেছে। যারা রোজার মধ্যে চিনি খেতে দেয়নি, তারা কিন্তু আবার সজাগ হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে তারা আবার মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবে। আইনের মাধ্যমে তাদের মেরুদণ্ড সোজা করতে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, এরা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। এদের ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ। তাজউদ্দীন সাহেব যখন তার (শেখ মুজিবুর রহমান) কাছে গিয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য, সেই তাজউদ্দীনকে শেখ মুজিব বলেছিল—আমি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি হব? তাহলে কী করে বলেন, শেখ মুজিব বাংলার নেতা? কী করে বলেন-শেখ মুজিব জাতির পিতা? এদের সবার বিচার করতেই হবে।

জয়নুল আবেদিন বলেন, সবাই যখন বাক্স গুটিয়ে রাওয়ালপিন্ডির কাছে আত্মসমর্পণ করলেন, তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। যখন অন্ধকারে দিশেহারা ঢাকার মানুষ, বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আজকে যে আয়োজন, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি এ বি এম ফারুক ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সেলিম।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেছারুল হক, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে : জয়নুল আবদিন ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে। যাতে আর কখনও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

সংস্কার নিয়ে দেরি না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে শিগগির নির্বাচন কমিশন সংস্কার করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, অতি দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের জন্য তৈরি করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করুন। নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করে এমন নির্বাচেনব্যবস্থা গঠন করতে হবে, যাতে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন নির্বাচন কমিশন, যারা সকালে বলে ৩০ শতাংশ, আরেক সময় বলে ৪০ শতাংশ আবার বিকেলে বলে ৫০ শতাংশ। এমন নির্বাচন কমিশন যেন আর না হয়। বাংলার মানুষ এমন নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়, যে নির্বাচন কমিশন ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী করেছে। এখন এমন নির্বাচন কমিশন চাই, যেখানে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘তারেক রহমানের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এখনো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছে। তাদের মামলা কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না, তা জনগণের জানার অধিকার আছে।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা যেন আর বাংলাদেশে ফিরে না আসে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁকে সাজা দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের এখন সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আর এর পেছনে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা জড়িত। তারা আলু সিন্ডিকেট করেছে, পেঁয়াজ সিন্ডিকেট করেছে। যারা রোজার মধ্যে চিনি খেতে দেয়নি, তারা কিন্তু আবার সজাগ হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে তারা আবার মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবে। আইনের মাধ্যমে তাদের মেরুদণ্ড সোজা করতে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, এরা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। এদের ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ। তাজউদ্দীন সাহেব যখন তার (শেখ মুজিবুর রহমান) কাছে গিয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য, সেই তাজউদ্দীনকে শেখ মুজিব বলেছিল—আমি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি হব? তাহলে কী করে বলেন, শেখ মুজিব বাংলার নেতা? কী করে বলেন-শেখ মুজিব জাতির পিতা? এদের সবার বিচার করতেই হবে।

জয়নুল আবেদিন বলেন, সবাই যখন বাক্স গুটিয়ে রাওয়ালপিন্ডির কাছে আত্মসমর্পণ করলেন, তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। যখন অন্ধকারে দিশেহারা ঢাকার মানুষ, বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আজকে যে আয়োজন, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি এ বি এম ফারুক ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সেলিম।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেছারুল হক, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।