নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী রেসে নেই, তাদের নেত্রীও নেই সুতরাং তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এ বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকেদর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বরং নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পূর্ণ উদ্যমে উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, তাদের কর্মসূচিও স্থগিত আছে। তাদের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। সংহিসতা করলে সরকারকেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি নিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা কনসার্নে থাকার মতোই বিষয়। বাহিনীগুলো কঠোর অবস্থানে থাকবে এটাই প্রত্যাশা। আর যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনী রেসে নেই, তাদের নেত্রীও নেই। তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
যারা নির্বাচনী রেসে নেই, দেশেই নেই, কার্যক্রম নিষিদ্ধ তাদের এসব কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চলছে সারা দেশে। নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠাও নেই। কারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি শক্ত অবস্থান নিতে হবে সরকারকেও।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কীভাবে বিএনপি এগোচ্ছে, মনোনয়ন প্রক্রিয়া কী হয়েছে, নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এসব বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার পাশাপাশি পর্যবেক্ষক পাঠাবে, সুশীল সমাজের সঙ্গেও কথা বলবে তারা মূলত নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে-এসব কথা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে গণতন্ত্র ফিরে আসুক সেটাই চায় তারা। এ পর্যন্ত ২৩৭টি মনোনয়ন গ্রহণযোগ্য এবং ভালো হয়েছে বলে মনে করেন তারা। জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আলোচনা এবং ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপরও আরও কিছু থাকতে পারে, সেটা বোধগম্য নয়।
আমীর খসরু বলেন, উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই তারা (ইইউ) সময়মতো নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাদের দিক থেকে সহযোগিতা করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কারও মধ্যে কোনো সংশয় নেই। বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন, সেই বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন উৎকণ্ঠা নেই এবং তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।
বিএনপি নেতা জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ সচেতন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















