Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যাতলেটিকোর নাটকীয় হারে ফের শীর্ষে বার্সা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ২১২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

৭০ মিনিট পর্যন্ত অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। ঘরের মাঠে কদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাটকীয় হারের পর একটা দারুণ জয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল অ্যাতলেটিকোর সমর্থকরা। তবে রোজিব্লাঙ্কোসদের হতাশ করতে বার্সেলোনার সময় লাগলো ২৮ মিনিট। শেষের ওই সময়ে সিমিওনের শিষ্যরা একে একে হজম করলো ৪ গোল।

ছয় মিনিটে শোধ করা হলো দুই গোল। ম্যাচ তখনো ড্রয়ের পথে। কিন্তু যোগ করা সময়ে বার্সেলোনা জালের ঠিকানা খুঁজে পেল আরও দুইবার। হতাশ ইয়ান ওবলাক, স্তব্ধ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো। স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া বার্সেলোনা ভক্ত আর পুরো ডাগআউট পুরোপুরি উল্লাসে মত্ত।

অ্যাতলেটিকোর মাঠে রোববার (১৬ মার্চ) রাতে লা লিগার ম্যাচে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। দুর্দান্ত এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে ব্লু-গ্রানারা। যদিও সেটা গোল ব্যবধানের সুবাদে। আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আছে তিনে। তাদের সঙ্গে বার্সা-রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারে।

রবের্ত লেভানদোভস্কি ব্যবধান কমানোর পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফেররান তরেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন লামিনে ইয়ামাল। ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা তরেস।

এই মৌসুমে আতলেতিকোর বিপক্ষে আগের দুবারের দেখায় ঘরের মাঠে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সেলোনা। গত ডিসেম্বরে লা লিগার ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। ৯৬তম মিনিটে আতলেতিকোর জয়সূচক গোলটি করেছিলেন সরলথ।

আর গত মাসে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা। ৯৩তম মিনিটে আতলেতিকোকে ৪-৪ সমতায় ফেরান সেই সরলথ। তৃতীয় দেখায় এবার নিজেরাই যোগ করা সময়ে গোল করে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল ফ্লিকের দল।

এই মাঠেই গত বুধবার রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ‘বল দুইবার স্পর্শের জন্য’ আলভারেসের গোল বাতিলের পর নাটকীয়ভাবে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় আতলেতিকো। সেই রেশ থাকতেই আরেকটি পরাজয়ের বেদনায় পুড়ল দিয়েগো সিমেওনের দল।

২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬০। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেল শিরোপাধারী রেয়াল। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো। মাদ্রিদের দুই দল একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।

ম্যাচের শুরুর দিকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও একচেটিয়া দাপট দেখায় বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা। দানি ওলমোকে বক্সের বাইরে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ইয়ামাল। ফিরতি পাস পেয়ে তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে।

চতুর্দশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। জুল কুন্দের ক্রসে লেভানদোভস্কির হেড অনায়াসে ঠেকান আতলেতিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও মাঝে অনেকটা সময় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ পায়নি কেউ। ৪৪তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। পেদ্রির পাস বক্সে পেয়ে পোলিশ স্ট্রাইকারের কোনাকুনি শট ক্রসবারের ওপরের অংশে লাগে।

পরের মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় আতলেতিকো। বাঁ দিক থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমান পাস দেন বক্সে, প্রথম স্পর্শে জুলিয়ানো সিমেওনে আবার পাস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে, প্রথম স্পর্শেই নিখুঁত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস।

৫০তম মিনিটে সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের নিচু শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৬০তম মিনিটে আলভারেসের বদলি নামার ১০ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সরলথ। বাঁ দিক থেকে কনর গ্যালাঘারের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন নরওয়ের ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

বিল্ডআপের সময় আতলেতিকোর মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলের হাতে বল লাগায় হ্যান্ডবলের আবেদন করে বার্সেলোনা। তবে ভিএআরের সাহায্যে গোল বহাল রাখেন রেফারি। তাকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ডাগআউটে উত্তেজিত কোচ হান্সি ফ্লিক।

বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন সরলথ। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই স্বাদ পেলেন তিনি। প্রথম জন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

এই মৌসুমে বদলি নেমে মোট ৮ গোল করলেন সরলথ, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

সেই রেশ থাকতেই ৭২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। ইনিগো মার্তিনেসের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ৩৬ বছর বয়সী তারকা। এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা লেভানদোভস্কির গোল হলো ২২টি।

৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন তরেস। রাফিনিয়ার ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোলটি করেন ৬৭তম মিনিটে ওলমোর বদলি নামা এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনাকে আরেকবার উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট আতলেতিকোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। আর যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে আতলেতিকোর এক খেলোয়াড় বল হারানোর পর বক্সের বাইরে থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তরেস।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত রইল বার্সেলোনা (১৫ জয় ও ৩ ড্র)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অ্যাতলেটিকোর নাটকীয় হারে ফের শীর্ষে বার্সা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

৭০ মিনিট পর্যন্ত অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। ঘরের মাঠে কদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাটকীয় হারের পর একটা দারুণ জয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল অ্যাতলেটিকোর সমর্থকরা। তবে রোজিব্লাঙ্কোসদের হতাশ করতে বার্সেলোনার সময় লাগলো ২৮ মিনিট। শেষের ওই সময়ে সিমিওনের শিষ্যরা একে একে হজম করলো ৪ গোল।

ছয় মিনিটে শোধ করা হলো দুই গোল। ম্যাচ তখনো ড্রয়ের পথে। কিন্তু যোগ করা সময়ে বার্সেলোনা জালের ঠিকানা খুঁজে পেল আরও দুইবার। হতাশ ইয়ান ওবলাক, স্তব্ধ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো। স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া বার্সেলোনা ভক্ত আর পুরো ডাগআউট পুরোপুরি উল্লাসে মত্ত।

অ্যাতলেটিকোর মাঠে রোববার (১৬ মার্চ) রাতে লা লিগার ম্যাচে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। দুর্দান্ত এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে ব্লু-গ্রানারা। যদিও সেটা গোল ব্যবধানের সুবাদে। আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আছে তিনে। তাদের সঙ্গে বার্সা-রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারে।

রবের্ত লেভানদোভস্কি ব্যবধান কমানোর পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফেররান তরেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন লামিনে ইয়ামাল। ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা তরেস।

এই মৌসুমে আতলেতিকোর বিপক্ষে আগের দুবারের দেখায় ঘরের মাঠে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সেলোনা। গত ডিসেম্বরে লা লিগার ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। ৯৬তম মিনিটে আতলেতিকোর জয়সূচক গোলটি করেছিলেন সরলথ।

আর গত মাসে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা। ৯৩তম মিনিটে আতলেতিকোকে ৪-৪ সমতায় ফেরান সেই সরলথ। তৃতীয় দেখায় এবার নিজেরাই যোগ করা সময়ে গোল করে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল ফ্লিকের দল।

এই মাঠেই গত বুধবার রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ‘বল দুইবার স্পর্শের জন্য’ আলভারেসের গোল বাতিলের পর নাটকীয়ভাবে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় আতলেতিকো। সেই রেশ থাকতেই আরেকটি পরাজয়ের বেদনায় পুড়ল দিয়েগো সিমেওনের দল।

২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬০। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেল শিরোপাধারী রেয়াল। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো। মাদ্রিদের দুই দল একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।

ম্যাচের শুরুর দিকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও একচেটিয়া দাপট দেখায় বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা। দানি ওলমোকে বক্সের বাইরে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ইয়ামাল। ফিরতি পাস পেয়ে তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে।

চতুর্দশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। জুল কুন্দের ক্রসে লেভানদোভস্কির হেড অনায়াসে ঠেকান আতলেতিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও মাঝে অনেকটা সময় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ পায়নি কেউ। ৪৪তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। পেদ্রির পাস বক্সে পেয়ে পোলিশ স্ট্রাইকারের কোনাকুনি শট ক্রসবারের ওপরের অংশে লাগে।

পরের মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় আতলেতিকো। বাঁ দিক থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমান পাস দেন বক্সে, প্রথম স্পর্শে জুলিয়ানো সিমেওনে আবার পাস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে, প্রথম স্পর্শেই নিখুঁত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস।

৫০তম মিনিটে সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের নিচু শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৬০তম মিনিটে আলভারেসের বদলি নামার ১০ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সরলথ। বাঁ দিক থেকে কনর গ্যালাঘারের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন নরওয়ের ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

বিল্ডআপের সময় আতলেতিকোর মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলের হাতে বল লাগায় হ্যান্ডবলের আবেদন করে বার্সেলোনা। তবে ভিএআরের সাহায্যে গোল বহাল রাখেন রেফারি। তাকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ডাগআউটে উত্তেজিত কোচ হান্সি ফ্লিক।

বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন সরলথ। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই স্বাদ পেলেন তিনি। প্রথম জন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

এই মৌসুমে বদলি নেমে মোট ৮ গোল করলেন সরলথ, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

সেই রেশ থাকতেই ৭২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। ইনিগো মার্তিনেসের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ৩৬ বছর বয়সী তারকা। এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা লেভানদোভস্কির গোল হলো ২২টি।

৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন তরেস। রাফিনিয়ার ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোলটি করেন ৬৭তম মিনিটে ওলমোর বদলি নামা এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনাকে আরেকবার উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট আতলেতিকোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। আর যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে আতলেতিকোর এক খেলোয়াড় বল হারানোর পর বক্সের বাইরে থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তরেস।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত রইল বার্সেলোনা (১৫ জয় ও ৩ ড্র)।