Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক : যুক্তরাষ্ট্র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ২০৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি ১৩ রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নেয়া ইস্যুতে এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে কাজ করছে। আমরা সব সময়ই এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছি। এটা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

বুধবার (২৬ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বেদান্ত প্যাটলকে বাংলাদেশের বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। ওই সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চান- আমি যদি বাংলাদেশের মিডিয়ার রিপোর্টগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ মোট ১৩টি বিদেশি মিশনের প্রধানরা। এ জন্য তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব (সমন) করা হয়। এরও আগে ২০শে জুলাই আবাসিক সমন্বয়ককে তলব করা হয়। আপনারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছেন। পশ্চিমা মিত্ররা এবং উন্নয়নে অংশীদাররাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছে। কিন্তু সরকার চলছে অন্যপথে।

সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- তারা ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের তলব করছে। এর প্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া কি?

এ প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি- গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা আরও পরিষ্কার করেছি যে, কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জন সমর্থন করি আমরা। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার ওপর সব সময়ই গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা বিশ্বাস করি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি অভিন্ন অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বাংলাদেশ সরকারের অনেক কর্মকর্তা নিজেরাই বলেছেন, এটা তাদেরও লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে যৌথ বিবৃতি দেয় ঢাকার ১৩ মিশন।

সম্প্রতি ঢাকা ১৭ আসনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধরের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এরপর এসব দেশের নাগরিকদের তলব করে বাংলাদেশ। সেখানে কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক : যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ১১:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি ১৩ রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নেয়া ইস্যুতে এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে কাজ করছে। আমরা সব সময়ই এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছি। এটা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

বুধবার (২৬ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বেদান্ত প্যাটলকে বাংলাদেশের বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। ওই সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চান- আমি যদি বাংলাদেশের মিডিয়ার রিপোর্টগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ মোট ১৩টি বিদেশি মিশনের প্রধানরা। এ জন্য তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব (সমন) করা হয়। এরও আগে ২০শে জুলাই আবাসিক সমন্বয়ককে তলব করা হয়। আপনারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছেন। পশ্চিমা মিত্ররা এবং উন্নয়নে অংশীদাররাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছে। কিন্তু সরকার চলছে অন্যপথে।

সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- তারা ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের তলব করছে। এর প্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া কি?

এ প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি- গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা আরও পরিষ্কার করেছি যে, কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জন সমর্থন করি আমরা। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার ওপর সব সময়ই গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা বিশ্বাস করি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি অভিন্ন অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বাংলাদেশ সরকারের অনেক কর্মকর্তা নিজেরাই বলেছেন, এটা তাদেরও লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে যৌথ বিবৃতি দেয় ঢাকার ১৩ মিশন।

সম্প্রতি ঢাকা ১৭ আসনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধরের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এরপর এসব দেশের নাগরিকদের তলব করে বাংলাদেশ। সেখানে কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।