Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবসরের ইঙ্গিত মাহমুদউল্লাহর

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শতক হাঁকিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৫ বিশ্বকাপে লাল-সবুজের জার্সিতে বিশ্বমঞ্চে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর একে একে আরও তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রিয়াদ। যার সবগুলোই এসেছে আইসিসি ইভেন্টে। টাইগার এই অলরাউন্ডার সবশেষ শত রানের ইনিংস খেলেন চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে। এরপর আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ জানিয়েছেন, এটিই হতে চলেছে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।

২০১৫ সালে বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শতক হাকানোর মাইলফলক গড়েন রিয়াদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর একই আসরে পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি করেছিলেন আরও একটি শতক। এরপর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিউইদের বিপক্ষেই আরও একটি শতক হাঁকান রিয়াদ।

এবার সেই আইসিসি ইভেন্টের মঞ্চ থেকেই যেন অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন দ্য সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ। আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ জানিয়েছেন, এটিই হতে চলেছে তার শেষ বিশ্বকাপ। ২০২৭ বিশ্বকাপের সময় রিয়াদের বয়স হবে ৪১। সেসময় তার না খেলাটাই স্বাভাবিক। তবে এরপরেও কেমন হবে লাল-সবুজ জার্সিতে তার যাত্রা সেই আভাসও পাওয়া গেল এদিন।

আইসিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রিয়াদ। সেখানে তিনি বলেন, দেশের হয়ে অনেকদিন ধরেই খেলছি আমি। ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয় বাংলাদেশের জার্সিতে। এরপর অনেক সময় হয়ে গেলো আমি খেলছি, আইসিসি ইভেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করতে পারায় আসলে আমি নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করি।

এরপরই নিজের শেষ বিশ্বকাপের কথাও বলেন দ্য সাইলেন্ট কিলার, সত্যি কথা বলতে এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। এরপর বাংলাদেশের হয়ে আমি আর কতদিন খেলতে পারবো তা নির্ভর করছে আমার শরীর এবং পারফর্ম্যান্সের উপর। তবে খুব তাড়াতাড়ি হোক বা আরও কিছু সময় পরেই হোক, আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতেই হবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে একসঙ্গে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়। এর মধ্যে মাশরাফি অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই। বাকিরাও হয়তো খুব বেশিদিন খেলবেন না। আগামীতে দলকে পথ দেখাবেন কারা, সেটি নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে। আমাদের ড্রেসিংরুমে দারুণ কিছু ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার আছে। মোস্তাফিজ, তাসকিন, শান্ত, লিটন, মিরাজ; তারাই হবে এরপর সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার। তারাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

বিশ্বকাপের চলতি আসরে দলের সেরা পারফর্মার মাহমুদউল্লাহ। এক সেঞ্চুরিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৯৮ রান নিয়ে আছেন লিটনেরও ওপরে।

২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে ৪ সেঞ্চুরি ও ২৭ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫২১৮। এছাড়াও ৫০টি টেস্টে ২৯১৪ ও ১২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২১২২ রান করেছেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অবসরের ইঙ্গিত মাহমুদউল্লাহর

প্রকাশের সময় : ০১:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শতক হাঁকিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৫ বিশ্বকাপে লাল-সবুজের জার্সিতে বিশ্বমঞ্চে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর একে একে আরও তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রিয়াদ। যার সবগুলোই এসেছে আইসিসি ইভেন্টে। টাইগার এই অলরাউন্ডার সবশেষ শত রানের ইনিংস খেলেন চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে। এরপর আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ জানিয়েছেন, এটিই হতে চলেছে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।

২০১৫ সালে বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শতক হাকানোর মাইলফলক গড়েন রিয়াদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর একই আসরে পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি করেছিলেন আরও একটি শতক। এরপর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিউইদের বিপক্ষেই আরও একটি শতক হাঁকান রিয়াদ।

এবার সেই আইসিসি ইভেন্টের মঞ্চ থেকেই যেন অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন দ্য সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ। আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ জানিয়েছেন, এটিই হতে চলেছে তার শেষ বিশ্বকাপ। ২০২৭ বিশ্বকাপের সময় রিয়াদের বয়স হবে ৪১। সেসময় তার না খেলাটাই স্বাভাবিক। তবে এরপরেও কেমন হবে লাল-সবুজ জার্সিতে তার যাত্রা সেই আভাসও পাওয়া গেল এদিন।

আইসিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রিয়াদ। সেখানে তিনি বলেন, দেশের হয়ে অনেকদিন ধরেই খেলছি আমি। ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয় বাংলাদেশের জার্সিতে। এরপর অনেক সময় হয়ে গেলো আমি খেলছি, আইসিসি ইভেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করতে পারায় আসলে আমি নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করি।

এরপরই নিজের শেষ বিশ্বকাপের কথাও বলেন দ্য সাইলেন্ট কিলার, সত্যি কথা বলতে এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। এরপর বাংলাদেশের হয়ে আমি আর কতদিন খেলতে পারবো তা নির্ভর করছে আমার শরীর এবং পারফর্ম্যান্সের উপর। তবে খুব তাড়াতাড়ি হোক বা আরও কিছু সময় পরেই হোক, আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতেই হবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে একসঙ্গে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়। এর মধ্যে মাশরাফি অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই। বাকিরাও হয়তো খুব বেশিদিন খেলবেন না। আগামীতে দলকে পথ দেখাবেন কারা, সেটি নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে। আমাদের ড্রেসিংরুমে দারুণ কিছু ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার আছে। মোস্তাফিজ, তাসকিন, শান্ত, লিটন, মিরাজ; তারাই হবে এরপর সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার। তারাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

বিশ্বকাপের চলতি আসরে দলের সেরা পারফর্মার মাহমুদউল্লাহ। এক সেঞ্চুরিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৯৮ রান নিয়ে আছেন লিটনেরও ওপরে।

২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে ৪ সেঞ্চুরি ও ২৭ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫২১৮। এছাড়াও ৫০টি টেস্টে ২৯১৪ ও ১২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২১২২ রান করেছেন তিনি।