Dhaka বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপতথ্য রোধে ইইউ-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অপতথ্য ও ভুল তথ্য রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব দেশই অপতথ্যের স্বীকার। অপতথ্য রোধে প্রযুক্তিগতসহ আইন ও নীতি সহায়তার বিষয়ে সহযোগিতা করবে ইউ। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সরকার। তবে বেশি স্বাধীনতা যেন অপতথ্যের কারণ না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আমি আগেও বলেছি, অপতথ্য প্রতিরোধ করতে চাই, কিন্তু মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে নয়। কাজেই দুটো একইসঙ্গে আমাদের করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যের কারণে পশ্চিমারা এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের মধ্যে সেই আলাপই হয়েছে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে আমরা একমত আছি। পশ্চিমারা বিভিন্ন ধরনের আইন করছেন। সেই আইনের খসড়া, আইন প্রণয়নের বিষয়গুলো আমাদের শেয়ার করবেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, অপতথ্য মানবসমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে দাভোসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে মানুষকে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে ঝুঁকিতে ফেলবে, তার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে প্রোপাগান্ডা ও মিস-ইনফরমেশন (ভুল তথ্য)।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে এ উদ্বেগটা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেমন আছে, তেমনি আমাদেরও আছে। সেক্ষেত্রে আমরা কীভাবে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি, তা নিয়ে আলাপ হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো আছেই।

এসব বিষয় ছাড়াও আরও বিভিন্ন স্তরে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ মূলত আমরা ডিসইনফরমেশন ও মিসইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারি।

কী ধরনের সহযোগিতা একে অপরের মধ্যে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইডিয়া বিনিময় করা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থাকবে। সমস্যা হলো, তারা এর সমাধান করে ফেলেছে, তা-ও কিন্তু না। সমাধান কেউ করেনি। নতুন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে তারাও চিন্তা করছে, আমরাও করছি। এখানে আমরা অংশীদার হচ্ছি। পরস্পরকে সহযোগিতা করে বৈশ্বিকভাবে আমরা এর সুরাহা করতে পারি কি না, সে আলাপই হয়েছে।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কী কথা হয়েছে, জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়া, সেটা তো আছেই। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো নিয়ে একটি আলাপ হয়েছে। ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে বলে রাষ্ট্রদূত বলেছেন। আমাদের দেশেও কোথায় কোথায় আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি, তা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ওপেন করে দেওয়া হয়েছে, গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। উদার করতে গিয়ে এমনও হয়েছে, গণমাধ্যমের মধ্যেও অনিয়ম দেখা দিয়েছে। এটি আমরা বলছি না, আপনারা গণমাধ্যমকর্মীরাই বলছেন। পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন, একে রেগুলেশন, ডিসিপ্লিনে আনা দরকার। আপনারাই বলছেন একটু রেগুলেট করতে হবে। এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই। গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন। স্বাধীনতার নামে আমরা তো জঙ্গল বানিয়ে ফেলতে পারি না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, অপতথ্য প্রতিরোধ করতে চাই, মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত না করে। কাজেই দুটো একইসঙ্গে আমাদের করতে হবে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে এ নিয়ে আমরা একমত হয়েছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে নুরুজ্জামান

অপতথ্য রোধে ইইউ-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অপতথ্য ও ভুল তথ্য রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব দেশই অপতথ্যের স্বীকার। অপতথ্য রোধে প্রযুক্তিগতসহ আইন ও নীতি সহায়তার বিষয়ে সহযোগিতা করবে ইউ। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সরকার। তবে বেশি স্বাধীনতা যেন অপতথ্যের কারণ না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আমি আগেও বলেছি, অপতথ্য প্রতিরোধ করতে চাই, কিন্তু মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে নয়। কাজেই দুটো একইসঙ্গে আমাদের করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যের কারণে পশ্চিমারা এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের মধ্যে সেই আলাপই হয়েছে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে আমরা একমত আছি। পশ্চিমারা বিভিন্ন ধরনের আইন করছেন। সেই আইনের খসড়া, আইন প্রণয়নের বিষয়গুলো আমাদের শেয়ার করবেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, অপতথ্য মানবসমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে দাভোসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে মানুষকে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে ঝুঁকিতে ফেলবে, তার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে প্রোপাগান্ডা ও মিস-ইনফরমেশন (ভুল তথ্য)।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে এ উদ্বেগটা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেমন আছে, তেমনি আমাদেরও আছে। সেক্ষেত্রে আমরা কীভাবে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি, তা নিয়ে আলাপ হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো আছেই।

এসব বিষয় ছাড়াও আরও বিভিন্ন স্তরে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ মূলত আমরা ডিসইনফরমেশন ও মিসইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারি।

কী ধরনের সহযোগিতা একে অপরের মধ্যে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইডিয়া বিনিময় করা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থাকবে। সমস্যা হলো, তারা এর সমাধান করে ফেলেছে, তা-ও কিন্তু না। সমাধান কেউ করেনি। নতুন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে তারাও চিন্তা করছে, আমরাও করছি। এখানে আমরা অংশীদার হচ্ছি। পরস্পরকে সহযোগিতা করে বৈশ্বিকভাবে আমরা এর সুরাহা করতে পারি কি না, সে আলাপই হয়েছে।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কী কথা হয়েছে, জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়া, সেটা তো আছেই। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো নিয়ে একটি আলাপ হয়েছে। ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে বলে রাষ্ট্রদূত বলেছেন। আমাদের দেশেও কোথায় কোথায় আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি, তা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ওপেন করে দেওয়া হয়েছে, গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। উদার করতে গিয়ে এমনও হয়েছে, গণমাধ্যমের মধ্যেও অনিয়ম দেখা দিয়েছে। এটি আমরা বলছি না, আপনারা গণমাধ্যমকর্মীরাই বলছেন। পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন, একে রেগুলেশন, ডিসিপ্লিনে আনা দরকার। আপনারাই বলছেন একটু রেগুলেট করতে হবে। এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই। গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন। স্বাধীনতার নামে আমরা তো জঙ্গল বানিয়ে ফেলতে পারি না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, অপতথ্য প্রতিরোধ করতে চাই, মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত না করে। কাজেই দুটো একইসঙ্গে আমাদের করতে হবে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে এ নিয়ে আমরা একমত হয়েছি।