নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্য কোনো দেশের পরামর্শে নয়, সংবিধান অনুযায়ীই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন বন্ধ করার নামে ‘বিএনপি মামা বাড়ির আবদার’ করছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন কাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রথম সদস্য পদ নবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুর বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী বিদেশ যাওয়ার সময়ও দলের সদস্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন। বৃহত্তর রংপুর আজ সেটাই শুরু করেছে। আজ থেকে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
তিনি বলেন, বিএনপির গণতন্ত্রে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। জিয়া-খালেদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না, গণতন্ত্র কী ম্যাজিকের ত্রাস? বিএনপির গণতন্ত্র আমরা বিশ্বাস করি না। বিএনপি তো দেশকে ধ্বংস করে গেছে। আর শেখ হাসিনা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ভোট পাওয়ার জন্য বিএনপির দৃশ্যমান একটা সফলতাও নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বিভিন্ন জোট করে গণআন্দোলন রচনার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। প্রকৃতপক্ষে আন্দোলন মানুষ দেখতে পায়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলন হতে পারে না। বিএনপি ব্যর্থ গণআন্দোলন নিয়ে পথ হারা পথিকের মতো, এখন তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নির্বাচন গণতান্ত্রিক উপায়ে হবে, অন্য দেশের পরামর্শে হবে না। অন্য দেশের নির্বাচনে আমাদের হস্তক্ষেপ নেই, তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কেন অন্য দেশের মাথা ব্যথা থাকবে?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিমাগারে। বিএনপির মাথায় এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত।
মির্জা ফখরুল ইসলামের কথার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়া-খালেদা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্র কি ম্যাজিকের ত্রাস, বিএনপির গণতন্ত্র আমরা বিশ্বাস করি না। বিএনপি তো নিজেই এ দেশকে ধ্বংস করে গেছে আর শেখ হাসিনা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ভোট পাওয়ার জন্য বিএনপির একটা দৃশ্যমান সফলতা নেই। মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। বিএনপি এ দেশের সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ অবিচল।
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি সন্ত্রাস করবে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সেই দুঃসাহস দেখিয়ে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, এ দেশে যারা আন্দোলনে জিতে তারাই নির্বাচনে জিতে। গণঅভ্যুত্থান, নানা আন্দোলনের চেষ্টা করে শুরুতেই হোঁচট খেয়ে যায়, বাস্তবে মানুষ কোনো আন্দোলন দেখতে পারেনি। নেতাকর্মীরা (বিএনপির) জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি, একটাও হালে পানি পায়নি। বিএনপি ব্যর্থ গণআন্দোলন নিয়ে পথ হারা পথিকের মতো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। তারা দেশকে কি মেরামত করবে। সবকিছুতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন শেখ হাসিনা করছেন। আপনাদের (বিএনপি) একটা উন্নয়নের কাজ নেই, যেটা দেখিয়ে ভোটারদের বলবেন, ভোট দেন।
তিনি বলেন, তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না। তো কোন গণতন্ত্র? জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোট? মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন বিশ্বাস করি না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। বিএনপির আন্দোলনে কেউ নেই। বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। আর দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ অবিচল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়ে বিদেশে গেছেন এবং বাজেট নিয়ে এসেছেন। বিশ্ব ব্যাংক বাজেটের জন্য ৫০০ বিলিয়ন দিতে প্রস্তুত। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে বিদেশে গিয়েছেন নিজের প্রয়োজনে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রু যেনো আওয়ামী লীগ না হয়। আন্দোলনে যারা ব্যর্থ, তারা সন্ত্রাস করবে। সতর্ক থাকতে হবে। একটা ব্যাপারই দরকার ঐক্য। এই কথা চেতনায় ধারণ করতে হবে।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। বর্তমানে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য তিনি।
এদিন সজীব ওয়াজেদ জয়ের পর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নবায়নের ঘোষণা আসে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। তারপর যথাক্রমে আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এ এইচ এম আশিকুর রহমান, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, হোসনে আরা লুৎপা ডালিয়া দলের সদস্য পদ নবায়ন করেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।