কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চান্দিনায় যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর দাবি, তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তার স্বামী ওই যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) গভীর রাতে উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই বাড়িতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তাঁর স্বামীর সঙ্গে তানভীরের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মারধরের শিকার হয়ে তিনি মারা যান। তবে তানভীরের স্বজনদের দাবি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া বাড়েরা ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। আজ বুধবার সকালে তাঁর লাশ উদ্ধারসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিম মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে আজ বুধবার সকালে গড়ামারা গ্রাম থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হলেও এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই বলতে পারছে না। তবে তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বলেন, রাত ২টার দিকে তানভীর তাঁর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তাঁর স্বামীর মারধরে তানভীর অচেতন হয়ে পড়েন।
তানভীরের মা নিলুফা বেগম দাবি করেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই মহিলা যা বলছে, তা মোটেও সত্য না। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সেলিম নামের একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।