Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘সিনেপ্লেক্স মধুবন’ চালু হচ্ছে বগুড়ায়

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২৪২ জন দেখেছেন

মধুবন সিনেপ্লেক্স

উত্তরাঞ্চলের রাজধানী বলে খ্যাত বগুড়ায় চালু হতে যাচ্ছে সিনেপ্লেক্স। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই সিনেপ্লেক্সের নাম মধুবন সিনেপ্লেক্স। বগুড়া শহরের মধ্যেই দক্ষিণ চ্যালোপাড়ায় অবস্থিত মধুবন সিনেমা।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে একটি সিনেপ্লেক্স রয়েছে। তবে সেটি কম সংখ্য আসন নিয়ে। রংপুর সড়কে হোটেল মম ইনে, এই সিনেপ্লেক্স এতোদিন ধরে চলে আসছিল। এবার যুক্ত হলো পরিপূর্ণ সিনেপ্লেক্স, মধুবন সিনেপ্লেক্স।

বগুড়ায় ‘মধুবন’ নামে সিনেমা হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হলটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে ১৯৭৪ সালে। ২০১৩ সালের দিকে উত্তরাধিকার সূত্রে হলটির প্রতিষ্ঠাতা লে.কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান ইউনুসের ছেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সদস্য রোকনুজ্জামান মো. ইউনুসের হাতে হলের মালিকানা আসে। বর্তমানে তার দুই ছেলে শাইকুজ্জামান ও আকিবুজ্জামান হলের দেখভালের দায়িত্বে আছেন।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘সিনেপ্লেক্স মধুবন’ চালু হচ্ছে বগুড়ায়
সিনেপ্লেক্স মধুবন

জানা গেছে, দাদা লে.কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান ইউনুসের প্রতিষ্ঠা করা বগুড়ার বিখ্যাত মধুবন সিনেমা হলটিই মূলত সিনেপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা করছে। এখানে আপাতত একটিই স্ক্রিন থাকছে। আগামীতে ব্যবসা ও দর্শক চাহিদার উপর নির্ভর করে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে ২০১৭ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া হলটির আসন সংখ্যা কমিয়ে ৮৮৭ থেকে ৩৪০টি করা হয়েছে। তবে চীন থেকে আমদানি করা এই চেয়ারগুলো বেশ আধুনিক ও আরামদায়ক।

মধুবন সিনেপ্লেক্সে সুবিধাদির মধ্যে থাকছে ডিএলপি সিনেমা প্রজেকশন সিস্টেম, ভারতের মুম্বাই থেকে আনা গ্যালাইট কম্পানির স্ক্রিন, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে দর্শকরা পাবেন গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা ও খাবারের জন্য ফুডকোর্ট। দেশীয় সিনেমার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য সিনেপ্লেক্সগুলোর মতো হলিউডের ছবি প্রদর্শনী করারও পরিকল্পনা রয়েছে মধুবন সিনেপ্লেক্সের।

আরও পড়ুন : চলচ্চিত্র নায়িকা মুনমুন জানালেন বিচ্ছেদের কারণ

শাইকুজ্জামান বলেন, অনেক বড় পরিকল্পনা নিয়ে মধুবনকে সিনেপ্লেক্স করা হয়েছে। এর সঙ্গে বগুড়ার মানুষের দীর্ঘকালের আবেগ জড়িত। সিনেপ্লেক্স হিসেবে এটিকে সংস্কারের পর থেকেই খুব ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকার করোনা পরবর্তী হল খেলার ঘোষণা দিলেই সিনেপ্লেক্সটি চালু করে দেয়া হবে।

একটা সময় বগুড়া জেলার আশেপাশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই জেলা সদরে সিনেমা দেখতে আসতেন। ধীরে ধীরে সে সংখ্যা কমতে থাকে। তবে মধুবন ফের আগ্রহ তৈরি করেছে, সিনেমা হলের মান বাড়লে মানুষ সিনেমা হলে যাবে বলে জানাচ্ছেন বগুড়ার স্থানীয়রা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘সিনেপ্লেক্স মধুবন’ চালু হচ্ছে বগুড়ায়

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

উত্তরাঞ্চলের রাজধানী বলে খ্যাত বগুড়ায় চালু হতে যাচ্ছে সিনেপ্লেক্স। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই সিনেপ্লেক্সের নাম মধুবন সিনেপ্লেক্স। বগুড়া শহরের মধ্যেই দক্ষিণ চ্যালোপাড়ায় অবস্থিত মধুবন সিনেমা।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে একটি সিনেপ্লেক্স রয়েছে। তবে সেটি কম সংখ্য আসন নিয়ে। রংপুর সড়কে হোটেল মম ইনে, এই সিনেপ্লেক্স এতোদিন ধরে চলে আসছিল। এবার যুক্ত হলো পরিপূর্ণ সিনেপ্লেক্স, মধুবন সিনেপ্লেক্স।

বগুড়ায় ‘মধুবন’ নামে সিনেমা হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হলটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে ১৯৭৪ সালে। ২০১৩ সালের দিকে উত্তরাধিকার সূত্রে হলটির প্রতিষ্ঠাতা লে.কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান ইউনুসের ছেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সদস্য রোকনুজ্জামান মো. ইউনুসের হাতে হলের মালিকানা আসে। বর্তমানে তার দুই ছেলে শাইকুজ্জামান ও আকিবুজ্জামান হলের দেখভালের দায়িত্বে আছেন।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘সিনেপ্লেক্স মধুবন’ চালু হচ্ছে বগুড়ায়
সিনেপ্লেক্স মধুবন

জানা গেছে, দাদা লে.কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান ইউনুসের প্রতিষ্ঠা করা বগুড়ার বিখ্যাত মধুবন সিনেমা হলটিই মূলত সিনেপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা করছে। এখানে আপাতত একটিই স্ক্রিন থাকছে। আগামীতে ব্যবসা ও দর্শক চাহিদার উপর নির্ভর করে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে ২০১৭ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া হলটির আসন সংখ্যা কমিয়ে ৮৮৭ থেকে ৩৪০টি করা হয়েছে। তবে চীন থেকে আমদানি করা এই চেয়ারগুলো বেশ আধুনিক ও আরামদায়ক।

মধুবন সিনেপ্লেক্সে সুবিধাদির মধ্যে থাকছে ডিএলপি সিনেমা প্রজেকশন সিস্টেম, ভারতের মুম্বাই থেকে আনা গ্যালাইট কম্পানির স্ক্রিন, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে দর্শকরা পাবেন গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা ও খাবারের জন্য ফুডকোর্ট। দেশীয় সিনেমার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য সিনেপ্লেক্সগুলোর মতো হলিউডের ছবি প্রদর্শনী করারও পরিকল্পনা রয়েছে মধুবন সিনেপ্লেক্সের।

আরও পড়ুন : চলচ্চিত্র নায়িকা মুনমুন জানালেন বিচ্ছেদের কারণ

শাইকুজ্জামান বলেন, অনেক বড় পরিকল্পনা নিয়ে মধুবনকে সিনেপ্লেক্স করা হয়েছে। এর সঙ্গে বগুড়ার মানুষের দীর্ঘকালের আবেগ জড়িত। সিনেপ্লেক্স হিসেবে এটিকে সংস্কারের পর থেকেই খুব ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকার করোনা পরবর্তী হল খেলার ঘোষণা দিলেই সিনেপ্লেক্সটি চালু করে দেয়া হবে।

একটা সময় বগুড়া জেলার আশেপাশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই জেলা সদরে সিনেমা দেখতে আসতেন। ধীরে ধীরে সে সংখ্যা কমতে থাকে। তবে মধুবন ফের আগ্রহ তৈরি করেছে, সিনেমা হলের মান বাড়লে মানুষ সিনেমা হলে যাবে বলে জানাচ্ছেন বগুড়ার স্থানীয়রা।