Dhaka বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবর্ধনায় কেবল তারেক রহমান বক্তব্য দেবেন, সৃষ্ট অসুবিধার জন্য ক্ষমা চাইলো বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ বক্তব্য রাখবেন না। এছাড়া তার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে দলটি। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি তারেক রহমান সমর্থন করেন না বলেও জানিয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দুঃখ প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পথিমধ্যে ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন। তারেক রহমানের সংবর্ধনায় তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমান এমন কোনো কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, যা জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করে। তিনি এরইমধ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের উপস্থিত হতে নিষেধ করেছেন। বাংলাদেশে আমরা তার নির্দেশনা পালনের শত চেষ্টা করে হয়ত শতভাগ পারিনি।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বিমানবন্দরে থেকে সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের কাছে যেতে চান, যেতে চান পিতা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে। তিনি এমন একটি দিন তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন, যা টানা ৩ দিন বাংলাদেশে সরকারি ছুটির মধ্যে পড়ে।

তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে আমরা রাজধানীর কেন্দ্রস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে কোনো কর্মসূচি রাখিনি বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, রাজধানীর একপাশে প্রশস্ত ৩৬ জুলাই মহাসড়কের সার্ভিস লেনের একপাশে আমরা স্থান নির্ধারণ করেছি। সেখানে শুধু দেশবাসীর প্রতি তার (তারেক রহমান) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করা হবে। সেই আয়োজন তারেক রহমান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর সেখান থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করবেন। এরপর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই যোদ্ধাদের দেখতে যাবেন। একই দিন তিনি শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।

বিশাল এ আয়োজন নিশ্চিদ্র ত্রুটিহীন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ড. এ কে এম শামসুল রহমান শামস এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংবর্ধনায় কেবল তারেক রহমান বক্তব্য দেবেন, সৃষ্ট অসুবিধার জন্য ক্ষমা চাইলো বিএনপি

প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ বক্তব্য রাখবেন না। এছাড়া তার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে দলটি। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি তারেক রহমান সমর্থন করেন না বলেও জানিয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দুঃখ প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পথিমধ্যে ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন। তারেক রহমানের সংবর্ধনায় তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমান এমন কোনো কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, যা জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করে। তিনি এরইমধ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের উপস্থিত হতে নিষেধ করেছেন। বাংলাদেশে আমরা তার নির্দেশনা পালনের শত চেষ্টা করে হয়ত শতভাগ পারিনি।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বিমানবন্দরে থেকে সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের কাছে যেতে চান, যেতে চান পিতা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে। তিনি এমন একটি দিন তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন, যা টানা ৩ দিন বাংলাদেশে সরকারি ছুটির মধ্যে পড়ে।

তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে আমরা রাজধানীর কেন্দ্রস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে কোনো কর্মসূচি রাখিনি বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, রাজধানীর একপাশে প্রশস্ত ৩৬ জুলাই মহাসড়কের সার্ভিস লেনের একপাশে আমরা স্থান নির্ধারণ করেছি। সেখানে শুধু দেশবাসীর প্রতি তার (তারেক রহমান) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করা হবে। সেই আয়োজন তারেক রহমান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর সেখান থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করবেন। এরপর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই যোদ্ধাদের দেখতে যাবেন। একই দিন তিনি শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।

বিশাল এ আয়োজন নিশ্চিদ্র ত্রুটিহীন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ড. এ কে এম শামসুল রহমান শামস এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।