Dhaka মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। রাস্তাঘাট অবরোধ বা সমাজে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা বন্ধ করার সময় এসেছে এবং পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০২৬ উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, জুলাই-পরবর্তী সময়ে বাস্তব কারণেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে আমরা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নির্বাচনের আগে এই পর্যায়ে এসে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের বাহিনী যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে।

তুচ্ছ ঘটনায় রাস্তা বা মহাসড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, সমাজের বিভিন্ন অংশে ছোটখাটো ইস্যুতে রাস্তা ও হাইওয়ে অবরোধ করে অস্থিরতা সৃষ্টির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধ করার সময় এসেছে। সব জায়গায় শৃঙ্খলা বা অর্ডার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

ইসির পদক্ষেপের প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে সামারি ট্রায়ালের (সংক্ষিপ্ত বিচার) মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রয়োজনে পুলিশের পাশাপাশি যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন, এমন প্রবিধান রাখায় আমি কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর করার মতো পূর্ণ সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বাহারুল আলম বলেন, আমাদের সমাজের বিভিন্ন অংশের ছোটখাটো ইস্যুতে দাবি-দাওয়া আদায়ে রাস্তা অবরোধ এবং হাইওয়ে অবরোধ করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির যেসব প্রচেষ্টা দেখতে পাই; এগুলো বন্ধ করার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আমাদের আইন প্রয়োগ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় নানান অসুবিধা ভোগ করেছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে এবং এই নির্বাচনের আগে এই পর্যায়ে আমরা যথেষ্ট পরিমাণে সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সমর্থন চাই। আমাদের সমাজের বিভিন্ন অংশের ছোটখাটো ইস্যুতে দাবি-দাওয়া আদায়ে রাস্তা অবরোধ এবং হাইওয়ে অবরোধসহ সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির যেসব প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাই; এগুলো বন্ধ করার সময় এসেছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা যদি সব জায়গায় অর্ডার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি আমাদের পক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমি এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন আইন ও বিধির মাধ্যমে এবং তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা ইলেক্টোরাল কমিটিকে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এবং যে ম্যাজিস্টেরিয়াল টিম থাকবে তারা শুধুমাত্র পুলিশ নয়; যেকোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের কাছ থেকে তারা সাহায্য চাইতে পারবেন সেই প্রবিধানও আরপিওতে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তরফ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দিতে চাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল নির্বাচন কমিশনারগণকে যে আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচন সফল সুন্দর শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারব এবং এর সম্পূর্ণ সক্ষমতা আছে।

এ সময় পুলিশ প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের রদবদল নিয়ে ইসির কাছে স্পষ্টীকরণ চান আইজিপি।

তিনি বলেন, এসপি বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলির বিষয়ে কমিশনের নির্দেশনা থাকে। তবে কনস্টেবল বা সাব-ইন্সপেক্টরের মতো সর্বনিম্ন পদেও রদবদলের ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্বানুমতি প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।

আইজিপি বাহারুল আলম প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, পুলিশ তার সর্বশক্তি ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবারের নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর। দেশবাসী ও নির্বাচন কমিশন আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।

আজ সকাল থেকে গণভোট ও নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় উপস্থিত আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

আরো উপস্থিত আছেন নির্বাচন কমিশনার – আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না : আইজিপি

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। রাস্তাঘাট অবরোধ বা সমাজে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা বন্ধ করার সময় এসেছে এবং পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০২৬ উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, জুলাই-পরবর্তী সময়ে বাস্তব কারণেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে আমরা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নির্বাচনের আগে এই পর্যায়ে এসে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের বাহিনী যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে।

তুচ্ছ ঘটনায় রাস্তা বা মহাসড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, সমাজের বিভিন্ন অংশে ছোটখাটো ইস্যুতে রাস্তা ও হাইওয়ে অবরোধ করে অস্থিরতা সৃষ্টির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধ করার সময় এসেছে। সব জায়গায় শৃঙ্খলা বা অর্ডার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

ইসির পদক্ষেপের প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে সামারি ট্রায়ালের (সংক্ষিপ্ত বিচার) মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রয়োজনে পুলিশের পাশাপাশি যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন, এমন প্রবিধান রাখায় আমি কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর করার মতো পূর্ণ সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বাহারুল আলম বলেন, আমাদের সমাজের বিভিন্ন অংশের ছোটখাটো ইস্যুতে দাবি-দাওয়া আদায়ে রাস্তা অবরোধ এবং হাইওয়ে অবরোধ করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির যেসব প্রচেষ্টা দেখতে পাই; এগুলো বন্ধ করার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আমাদের আইন প্রয়োগ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় নানান অসুবিধা ভোগ করেছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে এবং এই নির্বাচনের আগে এই পর্যায়ে আমরা যথেষ্ট পরিমাণে সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সমর্থন চাই। আমাদের সমাজের বিভিন্ন অংশের ছোটখাটো ইস্যুতে দাবি-দাওয়া আদায়ে রাস্তা অবরোধ এবং হাইওয়ে অবরোধসহ সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির যেসব প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাই; এগুলো বন্ধ করার সময় এসেছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা যদি সব জায়গায় অর্ডার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি আমাদের পক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমি এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন আইন ও বিধির মাধ্যমে এবং তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা ইলেক্টোরাল কমিটিকে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এবং যে ম্যাজিস্টেরিয়াল টিম থাকবে তারা শুধুমাত্র পুলিশ নয়; যেকোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের কাছ থেকে তারা সাহায্য চাইতে পারবেন সেই প্রবিধানও আরপিওতে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তরফ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দিতে চাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল নির্বাচন কমিশনারগণকে যে আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচন সফল সুন্দর শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারব এবং এর সম্পূর্ণ সক্ষমতা আছে।

এ সময় পুলিশ প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের রদবদল নিয়ে ইসির কাছে স্পষ্টীকরণ চান আইজিপি।

তিনি বলেন, এসপি বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলির বিষয়ে কমিশনের নির্দেশনা থাকে। তবে কনস্টেবল বা সাব-ইন্সপেক্টরের মতো সর্বনিম্ন পদেও রদবদলের ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্বানুমতি প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।

আইজিপি বাহারুল আলম প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, পুলিশ তার সর্বশক্তি ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবারের নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর। দেশবাসী ও নির্বাচন কমিশন আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।

আজ সকাল থেকে গণভোট ও নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় উপস্থিত আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

আরো উপস্থিত আছেন নির্বাচন কমিশনার – আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।