Dhaka সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকেই অনেকভাবে সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু ওসমান হাদি সৎ ও নির্ভীক থেকে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছিলেন। যারা দেশের জন্য কাজ করেন, তারা সহজেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেন। ওসমান হাদি তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ। হাদির জানাজায় এত মানুষের সমাগম বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চনে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আল্লাহ হাদিকে বেহেশতের সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দেবেন। হাদি এই নশ্বর পৃথিবীর চেয়ে ভালো জায়গায় অবস্থান করছেন বলে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমান অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।

তিনি বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শুধু ডিগ্রি অর্জন যথেষ্ট নয়; সক্ষমতা, শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতাও প্রয়োজন। দক্ষতাকে লক্ষ্য নয়, অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সততাকে নীতি নয়, পরিচয় বানাতে হবে এবং দেশপ্রেমকে আবেগ নয়, আচরণে রূপ দিতে হবে।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।

এসইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এ এম শামীম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন খান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নওজিয়া ইয়াসমীন ও বিভিন্ন অনুষদ ডিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এবারের সমাবর্তনে এসইউবির ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকেই অনেকভাবে সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু ওসমান হাদি সৎ ও নির্ভীক থেকে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছিলেন। যারা দেশের জন্য কাজ করেন, তারা সহজেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেন। ওসমান হাদি তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ। হাদির জানাজায় এত মানুষের সমাগম বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চনে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আল্লাহ হাদিকে বেহেশতের সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দেবেন। হাদি এই নশ্বর পৃথিবীর চেয়ে ভালো জায়গায় অবস্থান করছেন বলে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমান অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।

তিনি বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শুধু ডিগ্রি অর্জন যথেষ্ট নয়; সক্ষমতা, শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতাও প্রয়োজন। দক্ষতাকে লক্ষ্য নয়, অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সততাকে নীতি নয়, পরিচয় বানাতে হবে এবং দেশপ্রেমকে আবেগ নয়, আচরণে রূপ দিতে হবে।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।

এসইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এ এম শামীম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন খান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নওজিয়া ইয়াসমীন ও বিভিন্ন অনুষদ ডিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এবারের সমাবর্তনে এসইউবির ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।