Dhaka শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়নাতদন্তের জন্য হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ময়নাতদন্তের জন্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে মর্গে নেয়া হয়।

এসময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ আনা হয় মর্গে। হাদির স্বজন, সহযোদ্ধা, সহকর্মীরাও সঙ্গে ছিলেন। ভোর থেকেই হাদিকে শেষবারের মতো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন হাসপাতালের সামনে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গোসল করানো হবে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার (২০ ডিসেম্বর)একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ময়নাতদন্তের জন্য হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দীতে

প্রকাশের সময় : ১১:২৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ময়নাতদন্তের জন্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে মর্গে নেয়া হয়।

এসময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ আনা হয় মর্গে। হাদির স্বজন, সহযোদ্ধা, সহকর্মীরাও সঙ্গে ছিলেন। ভোর থেকেই হাদিকে শেষবারের মতো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন হাসপাতালের সামনে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গোসল করানো হবে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার (২০ ডিসেম্বর)একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।