Dhaka শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

পাকিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বাংলাদেশের বিদায়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২০৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় জুনিয়র টাইগাররা। জবাবে মাত্র ১৬.৩ ওভারে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে পা রাখে পাকিস্তান।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে বৃষ্টির বাগড়া আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ম্যাচ কমিয়ে ২৭ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন হানা দেয় বৃষ্টি। একটা সময় শঙ্কা জাগে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ারও। তবে শেষ পর্যন্ত ওভার কমিয়ে শুরু হয় মাঠের লড়াই। যেখানে কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান।

ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে পঞ্চম ওভারে ফিরে যান রিফাত বেগ। একটি করে ছক্কা-চারে ১৬ বলে ১৪ রান করেন তিনি। আগের তিন ম্যাচে ৯৬, ৭০*, ৪৯ রান করা জাওয়াদ আবরার এবার দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি। একটি ছক্কা মেরেই বেজে যায় তার বিদায়ঘণ্টা।

আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকি জুটি গড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের বন্ধন। একটি করে ছক্কা-চারে ২০ রান করা আজিজুলকে কট বিহাইন্ড করে দেন সুবহান। পাঁচ বল পর এই পেসার ভেঙে দেন ৮ রান করতে ২৩ বল খেলা কালামের স্টাম্প।

নিজের পরের ওভারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে বোল্ড করেন সুবহান। শেখ পারভেজ জীবন, ফরিদ হাসান পারেননি দলের হাল ধরতে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে দলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন সামিউন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে শেখ পারভেজ জীবন ৯, ফরিদ হাসান ৭, সাদ ইসলাম ০ ও ইকবাল হোসেন ইমন অপরাজিত থাকেন ১ রানে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা সামিউন বশির আউট হন ৩৩ রানে।

সুবহানের ৪ উইকেট ছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন হুজাইফা আহসান। সমান ১টি করে আলি রাজা, মোহাম্মদ সায়েম ও আহমেদ হুসেন।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। মাত্র ১ রানেই হামজা জাহুরকে ফিরিয়ে দেন ইকবাল হোসাইন ইমন। তবে এরপর দৃঢ়তা দেখান সামির মিনহাস ও উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান তারা।

উসমান খান ২৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ রান করে সামিউন বাশিরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন সামির মিনহাস। তিনি ৫৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৯ রান করেন। শেষ দিকে আহমেদ হুসাইন ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলীয় সংগ্রহ এগিয়ে নেন।

বাংলাদেশের বোলিংয়ে ইকবাল হোসাইন ইমন ৫.৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সামিউন বাশিরও ৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন।

এই জয়ের ফলে বাংলাদেশকে টপকে ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান। অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারত পৌঁছে গেছে ফাইনালের মঞ্চে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ওসমান হাদির জানাজায় আগতদের জন্য ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

পাকিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বাংলাদেশের বিদায়

প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় জুনিয়র টাইগাররা। জবাবে মাত্র ১৬.৩ ওভারে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে পা রাখে পাকিস্তান।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে বৃষ্টির বাগড়া আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ম্যাচ কমিয়ে ২৭ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন হানা দেয় বৃষ্টি। একটা সময় শঙ্কা জাগে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ারও। তবে শেষ পর্যন্ত ওভার কমিয়ে শুরু হয় মাঠের লড়াই। যেখানে কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান।

ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে পঞ্চম ওভারে ফিরে যান রিফাত বেগ। একটি করে ছক্কা-চারে ১৬ বলে ১৪ রান করেন তিনি। আগের তিন ম্যাচে ৯৬, ৭০*, ৪৯ রান করা জাওয়াদ আবরার এবার দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি। একটি ছক্কা মেরেই বেজে যায় তার বিদায়ঘণ্টা।

আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকি জুটি গড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের বন্ধন। একটি করে ছক্কা-চারে ২০ রান করা আজিজুলকে কট বিহাইন্ড করে দেন সুবহান। পাঁচ বল পর এই পেসার ভেঙে দেন ৮ রান করতে ২৩ বল খেলা কালামের স্টাম্প।

নিজের পরের ওভারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে বোল্ড করেন সুবহান। শেখ পারভেজ জীবন, ফরিদ হাসান পারেননি দলের হাল ধরতে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে দলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন সামিউন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে শেখ পারভেজ জীবন ৯, ফরিদ হাসান ৭, সাদ ইসলাম ০ ও ইকবাল হোসেন ইমন অপরাজিত থাকেন ১ রানে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা সামিউন বশির আউট হন ৩৩ রানে।

সুবহানের ৪ উইকেট ছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন হুজাইফা আহসান। সমান ১টি করে আলি রাজা, মোহাম্মদ সায়েম ও আহমেদ হুসেন।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। মাত্র ১ রানেই হামজা জাহুরকে ফিরিয়ে দেন ইকবাল হোসাইন ইমন। তবে এরপর দৃঢ়তা দেখান সামির মিনহাস ও উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান তারা।

উসমান খান ২৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ রান করে সামিউন বাশিরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন সামির মিনহাস। তিনি ৫৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৯ রান করেন। শেষ দিকে আহমেদ হুসাইন ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলীয় সংগ্রহ এগিয়ে নেন।

বাংলাদেশের বোলিংয়ে ইকবাল হোসাইন ইমন ৫.৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সামিউন বাশিরও ৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন।

এই জয়ের ফলে বাংলাদেশকে টপকে ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান। অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারত পৌঁছে গেছে ফাইনালের মঞ্চে।