স্পোর্টস ডেস্ক :
উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়া শক্ত ভিত কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে আড়াইশর নিচে হলো অলআউট। তবে এই সাদামাটা পুঁজি রক্ষায় জ্বলে উঠলেন বোলাররা। তাদের সম্মিলিত অবদানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিলল অনায়াস জয়। অপরাজিত থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠল যুবা টাইগাররা। সেমি-ফাইনালে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আইসিসি একাডেমিতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে ২১ বল বাকি থাকতে ২২৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে ৪৯.১ ওভার খেলে শ্রীলঙ্কা থামে ১৮৬ রানে। হারলেও সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।
২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার দিমান্থা মহাবিথানা ৪৯ বল খেলে মাত্র ১৩ রান করে সামিউন বাসিরের বলে এলবিডব্লিউ হলে চাপে পড়ে লঙ্কানরা। আরেক ওপেনার ভিরান চামুদিথাও (১২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ইকবাল হোসেন ইমনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। কিথমা উইথানাপাথিরানা শূন্য এবং কাভিজা গামাগে ৯ রানে ফিরলে লঙ্কানদের টপ অর্ডার ধসে পড়ে। অধিনায়ক বিমাথ দিনসারা (১৭) কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।
মিডল অর্ডারে চামিকা হিনাটিগালা (৪১) এবং শেষ দিকে আদহাম হিলমির ৩৯ রানের (৩৮ বলে) ঝড়ো ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট পান শাহরিয়ার আহমেদ ও ইমন। শাহরিয়ার ২৭ ও ম্যাচসেরা ইমন ৩৭ রান খরচ করেন। সামিউন বশির রাতুল দুটি শিকার ধরেন ২৭ রানের বিনিময়ে। তাদের মতো আঁটসাঁট ছিলেন অধিনায়ক আজিজুলও। তিনি ৩১ রানে নেন ১ উইকেট। এদের সবাই ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ জাওয়াদ ও রিফাত বেগের ব্যাটে ভালো শুরু পায়। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৪ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান বাড়ানো জাওয়াদের বিদায়ে ত্রয়োদশ ওভারে ভাঙে এই যুগলবন্দি।
আরেক ওপেনার রিফাত বিদায় নেন ৩ চারে ৩৬ রান করে। বাংলাদেশের প্রথম দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান পেসার রাসিথা নিমসারা।
আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকের জুটিতে আসে ৫৩ রান। ২ চারে ২৯ রান করা আজিজুলের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ১৫৬ থেকে সোয়া দুইশ রানে অলআউট হয়ে যায় দল। ৬৯ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা।
অনেকটা সময় ক্রিজে কাটিয়ে একটি করে ছক্কা-চারে ৬০ বলে ৩২ রান করেন কালাম। সাতে নেমে দুই ছক্কা ও একটি চারে ২৯ রান করেন কিপার ব্যাটসম্যান ফরিদ খান। বাংলাদেশের ইনিংসে পাঁচ জন স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্ক।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন কাভিজা গামাগে। তিনি ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে বড় ধাক্কা দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। দুটি করে উইকেট দখল করেন ভিরান চামুদিতা ও রাসিত নিমসারা।
স্পোর্টস ডেস্ক 
























