Dhaka বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাশকতা মামলায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৪৫ নেতাকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০১৩ সালের পল্টন ও শাহজাহানপুর থানার পৃথক দুই নাশকতা মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ ৪৫ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন। সকালে মির্জা আব্বাস ও আমানউল্লাহ আমান আদালতে উপস্থিত হয়ে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। পরে আদালত এই মামলার বিষয়বস্তু শুনে তাদের অব্যাহতি দেন।

মির্জা আব্বাস, আমানুল্লাহ আমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহি উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবীরা বলেন, আজ পৃথক দুই থানার মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। আমরা তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

অব্যাহতি প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা-১২ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাইফুল আলম নিরব, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা – ৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।

পল্টন থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১ হাজার থেকে ১২শ নেতাকর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শান্তিনগরের দিকে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অগ্রসর হয়। বিকাল ৫ টার সময় শান্তিনগর ক্রসিংয়ে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, যানবাহন ভাঙচুর করতে থাকে। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে তারা আরো উগ্র হয়ে উঠে। পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্য পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর ফলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ের পল্টন থানার উপপরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বাদী মামলাটি দায়ের করেন।

একই বছরের ২৬ মার্চ পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে অব্যাহতি দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শাহজাহানপুর থানাধীন মালিবাগ এলাকায় বিএনপির ১৫০ থেকে ২০০ নেতাকর্মী ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মিছিল করে। বিকাল সাড়ে চারটার সময় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। পুলিশ তাদের নিষেধ করলে তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ফলে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ওই দিনেই শাহজাহানপুর থানা উপপরিদর্শক মো. আশরাফ আলী মামলা মামলা করেন।

ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মুন্সি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ অব্যাহতি পেয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নাশকতা মামলায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৪৫ নেতাকে অব্যাহতি

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০১৩ সালের পল্টন ও শাহজাহানপুর থানার পৃথক দুই নাশকতা মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ ৪৫ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন। সকালে মির্জা আব্বাস ও আমানউল্লাহ আমান আদালতে উপস্থিত হয়ে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। পরে আদালত এই মামলার বিষয়বস্তু শুনে তাদের অব্যাহতি দেন।

মির্জা আব্বাস, আমানুল্লাহ আমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহি উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবীরা বলেন, আজ পৃথক দুই থানার মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। আমরা তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

অব্যাহতি প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা-১২ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাইফুল আলম নিরব, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা – ৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।

পল্টন থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১ হাজার থেকে ১২শ নেতাকর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শান্তিনগরের দিকে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অগ্রসর হয়। বিকাল ৫ টার সময় শান্তিনগর ক্রসিংয়ে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, যানবাহন ভাঙচুর করতে থাকে। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে তারা আরো উগ্র হয়ে উঠে। পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্য পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর ফলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ের পল্টন থানার উপপরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বাদী মামলাটি দায়ের করেন।

একই বছরের ২৬ মার্চ পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে অব্যাহতি দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শাহজাহানপুর থানাধীন মালিবাগ এলাকায় বিএনপির ১৫০ থেকে ২০০ নেতাকর্মী ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মিছিল করে। বিকাল সাড়ে চারটার সময় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। পুলিশ তাদের নিষেধ করলে তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ফলে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ওই দিনেই শাহজাহানপুর থানা উপপরিদর্শক মো. আশরাফ আলী মামলা মামলা করেন।

ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মুন্সি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ অব্যাহতি পেয়েছেন।