Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ জয় : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় জুলাই গণআন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যায় সহায়তার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জয়ের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকুক বা না থাকুক, তিনি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত উপদেষ্টা ছিলেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে গণহত্যায় সহায়তা করেছেন। এ অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় বিচারাধীন হবে।

এদিন আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আগে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে দুটি পৃথক আবেদন করেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। যুক্তরাজ্য থেকে দুইজন আইনজীবী আনার আবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল জানান, বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ আইনেই রয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষ।

আরেক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ. রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। যুক্তরাজ্য থেকে আইনজীবী আনার আবেদনের পর মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিন ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আর অনুপস্থিত থাকার কারণে জয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আরও দুইজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান সম্পন্ন করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ জয় : চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশের সময় : ০৬:০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় জুলাই গণআন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যায় সহায়তার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জয়ের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকুক বা না থাকুক, তিনি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত উপদেষ্টা ছিলেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে গণহত্যায় সহায়তা করেছেন। এ অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় বিচারাধীন হবে।

এদিন আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আগে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে দুটি পৃথক আবেদন করেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। যুক্তরাজ্য থেকে দুইজন আইনজীবী আনার আবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল জানান, বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ আইনেই রয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষ।

আরেক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ. রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। যুক্তরাজ্য থেকে আইনজীবী আনার আবেদনের পর মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিন ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আর অনুপস্থিত থাকার কারণে জয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আরও দুইজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান সম্পন্ন করেছেন।