নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভারি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান রয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ভলান্টিয়ার সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ কথা তিনি এ কথা বলেন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনী কাজ করে জনগণের জন্য। এই বাহিনীতে কোনো সমস্যা থাকলে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ আছে। সরকার সেই পরামর্শ সুপারিশ আকারে গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারেরও অধিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সকল স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ভবিষ্যতে তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে তাদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন, বিভিন্ন দিবস উদযাপন, মহড়া ও গণসংযোগ কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবায় উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রশিক্ষণ-লব্ধ জ্ঞানকে শাণিত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দেশের মানুষের জন্য যে সেবা আপনারা দিচ্ছেন, তা জাতি চিরদিন মনে রাখবে। এই সেবার প্রতিদান পরকালেও পাবেন।
অনুষ্ঠানে ২২ জন প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ারকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অতিথিকে ‘গেস্ট অব অনার’ও প্রদান করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
ভলান্টিয়ার সম্মাননা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জাহেদ কামাল প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 






















