Dhaka শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আয়ারল্যান্ডের কাছে উড়ে গেল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক :

যে উইকেটে চার-ছক্কার ঝড় তুললেন দুই ভাই হ্যারি ও টিম টেক্টর। সেই উইকেটে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যটিং। আরও একবার দেড়শোর বেশি রান তাড়া কীভাবে করতে হয় দেখাতে পারল না লিটন দাসের দল। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হ্যামফ্রিস, দুই পেসার মার্ক অ্যাডাইয়ার ও ব্যারি ম্যাকার্থির বল যেন হয়ে উঠল দুর্বোধ্য। চূড়ান্ত বিব্রতকর ব্যাটিং প্রদর্শনীতে স্বাগতিকরা কোন লড়াই সেভাবে জমাতেই পারল না লিটনের দল। দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল আয়ার‌ল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসে বেশিরভাগ আসন ছিলো ফাঁকা। যে কয়েক হাজার দর্শক এসেছেন তাদের ফিরতে হয়েছে হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হারল ৩৯ রানের ব্যবধানে।

পাওয়ার প্লের মধ্যে ২০ রানে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা এই রান পেয়েছে মূলত তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। ছন্দহীন ব্যাটার বাকিদের ব্যর্থতার দিনে খেলেছেন ৫০ বলে ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের সফল বোলার হ্যামফ্রিস। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

যে উইকেটে আইরিশরা ঝড় তুলল সেই উইকেটে রান তাড়ায় নেমেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হ্যামফ্রিসের প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে তুলেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে স্রেফ ২ রান করেন তিনি। মার্ক অ্যাডাইয়ার দ্বিতীয় ওভারে এসে হানেন আরও বড় আঘাত। তার বলে আলতো শটে ক্যাচ তুলে হাঁটা ধরেন অধিনায়ক লিটন দাস। ওই ওভার উইকেট মেডেন নেন অ্যাডাইয়ার।

ডানহাতি এই পেসার নিজের দ্বিতীয় ওভারেও পান উইকেট। শর্ট বল করে ডিপে ফিল্ডার রেখে পারভেজ হোসেন ইমনের জন্য ফাঁদ তৈরি করেন তিনি। সেই ফাঁদেই কাটা পড়েন পারভেজ (৬ বলে ১)। অ্যাডাইয়ার তার প্রথম ৯ বলে কোন রান না দিয়ে নেন ২ উইকেট।

সহ-অধিনায়কত্ব পাওয়া সাইফ হাসান ক্রিজে নেমে ছিলেন খোলসবন্দি। একের পর এক ডট বলে বাড়াচ্ছিলেন চাপ। ব্যারি ম্যাকার্থির ভেতরে ঢোকা বল ফ্লিক করতে গিয়ে স্টাম্প উড়ে যায় তার। ১৩ বলে মাত্র ৬ রান করে বিদায় নেন সাইফ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ২০ রান, হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।

ম্যাচ তখন পুরোপুরি আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে। চরম নাজুক অবস্থায় জুটি বাঁধেন হৃদয়-জাকের।

জুটিতে অগ্রনী ছিলেন হৃদয়, রান বাড়াচ্ছিলেন তিনিই। আরেক পাশে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে থাকা জাকের ফের করেন হতাশ। ম্যাকার্থির শর্ট বলে ক্রস খেলতে গিয়ে ডিপ থার্ডে উঠে তার ক্যাচ, সহজেই তা লুফেছেন জশ লিটল। ৩৪ বলে ৪৮ রানের জুটি ভাঙার পর আশা দেখা ছিলো কঠিন। সাতে নামা তানজিম হাসান সাকিবও ক্যাচ উঠিয়ে থামলে বাংলাদেশ হার যেন তখন একদম স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো। যদিও হৃদয় তখনো ক্রিজে। আরেক পাশে আসা-যাওয়ার মিছলে স্রেফ ৩ বল খেলে হ্যামফ্রিসের শিকার হয়ে বিদায় নেন রিশাদ হোসেনও।

ম্যাচের সমীকরণ নাগালের বাইরে যাওয়ার পর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৩১ বলে ৪৮ যোগ করেন হৃদয়, ৩৪ বলে ফিফটি করে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে তার ইনিংসের কোন পর্যায়ের জেতার আশা দেখা দেয়নি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। উইকেট বুঝে নিয়ে প্রথম থেকেই পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টরের ব্যাটে ছিল দ্রুত রান তোলার তাড়া। স্পিনে জায়গা বানিয়ে বাউন্ডারি আদায় করেছেন দুজন, থিতু হতে দেননি বাংলাদেশের পেসারদের।

প্রথম ৪ ওভারে ৪০ রান তোলেন দুজন। শরিফুল ইসলামের প্রথম দুই ওভারে বাউন্ডারি আসে ৬টি! পঞ্চম ওভারে তানজিম হাসান আক্রমণে এসে স্টার্লিংকে (২১) ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি।

পাওয়ার প্লের পর রিশাদ হোসেনকে চার ও ছক্কায় বোলিংয়ে স্বাগত জানান টিম টেক্টর। তার সঙ্গে তখন জুটি বাঁধেন বড় ভাই হ্যারি টেক্টর।

দুই ভাইয়ের জুটি অবশ্য খুব লম্বা হয়নি। ১৯ বলে ৩২ করে রিশাদের বলে আউট হন টিম টেক্টর।

ছোট ভাইয়ের বিদায়ের পর দায়িত্ব বুঝে নেন হ্যারি টেক্টর। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন লর্কান টাকার (১৮)। পরে আরেকটি কার্যকর জুটি গড়ে ওঠে কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে। ১৭ বলে ২৪ রান করা ক্যাম্ফার আউট হন তানজিমের বলে পারভেজ হোসেন ইমনের অসাধারণ এক ক্যাচে।

আয়ারল্যান্ডের শেষের ঝড় অবশ্য তাতে থামানো যায়নি। জর্জ ডকরেল ক্রিজে গিয়ে তিন বলের মধ্যে দুটি বাউন্ডারি মেরে দেন। শেষ ওভারে টেক্টরের দুই ছক্কায় দলের রান ছাড়িয়ে যায় ১৮০।

টি-টোয়েন্টিতে দেশের মাঠে কখনও ১৬৫ রানের বেশি টপকে জিততে পারেননি বাংলাদেশ। সেই চ্যালেঞ্জ জিততে জরুরি ছিল ভালো শুরু। উল্টো শুরুতেই দল ছুটতে থাকে উল্টো পথে।

ম্যাথু হামফ্রিজের প্রথম ওভারেই মিড অনে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসান। পরের ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন লিটন কুমার দাস।

সেই রেশ কাটার আগেই আরেকটি ধাক্কা। পারভেজ হোসেন ইমনের জন্য স্কয়ার লেগ ও মিড উইকেট সীমানায় ফিল্ডার রেখে বল করছিলেন অ্যাডায়ার। সেই ফাঁদে পা দিয়ে মিড উইকেটেই ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি।

প্রথম ৯ বলে কোনো রান না দিয়ে ২ উইকেট নেন অ্যাডায়ার। সাইফ হাসান প্রথম ৭ বলে পাননি রানের দেখা।সেই সাইফ ভীষণ দৃষ্টিকটূ এক শটে বোল্ড হয়ে যান ১৩ বলে ৬ করে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৪ উইকেটে ২০ রান।

ম্যাচের ভাগ্য গড়া হয়ে যায় সেখানেই। দেখার ছিল, আদৌ লড়াই জমাতে পারে কি না বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটে কিছুটা আভাস দেখা গেলেও লম্বা হয়নি তা। ১৬ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন জাকের। জুটিতে আসে ৩৪ বলে ৪৮ রান। এই জুটি ভাঙার পর ধস নামে আবার। হামফ্রিজ এক ওভারেই ফেরান তানজিম, রিশাদ ও নাসুমকে। ১০০ রান তখন বহুদূরে। ৮ উইকেটে ৭৪ রান নিয়ে ধুঁকছে দল।

সব হারিয়ে কিছুটা লড়াই দেখা যায় নবম জুটিতে। হৃদয়কে সঙ্গ দেন শরিফুল। ৩৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে এগিয়ে যান হৃদয়। শরিফুল নিজেও মারেন বিশাল এক ছক্কা। নবম জুটিতে আসে ৪৮ রান, এই সংস্করণে যা বাংলাদেশের রেকর্ড।

শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটিকে আরেকটু সমৃদ্ধ করেন হৃদয়। দর্শকরা পায় কিছুটা বিনোদন।

দুর্ভাবনাগুলো আড়াল হচ্ছে না তাতে। এই বছর টানা চারটি সিরিজ জয়ী দল এবার হেরে গেল টানা চারটি ম্যাচে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আয়ারল্যান্ডের কাছে উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক :

যে উইকেটে চার-ছক্কার ঝড় তুললেন দুই ভাই হ্যারি ও টিম টেক্টর। সেই উইকেটে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যটিং। আরও একবার দেড়শোর বেশি রান তাড়া কীভাবে করতে হয় দেখাতে পারল না লিটন দাসের দল। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হ্যামফ্রিস, দুই পেসার মার্ক অ্যাডাইয়ার ও ব্যারি ম্যাকার্থির বল যেন হয়ে উঠল দুর্বোধ্য। চূড়ান্ত বিব্রতকর ব্যাটিং প্রদর্শনীতে স্বাগতিকরা কোন লড়াই সেভাবে জমাতেই পারল না লিটনের দল। দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল আয়ার‌ল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসে বেশিরভাগ আসন ছিলো ফাঁকা। যে কয়েক হাজার দর্শক এসেছেন তাদের ফিরতে হয়েছে হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হারল ৩৯ রানের ব্যবধানে।

পাওয়ার প্লের মধ্যে ২০ রানে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা এই রান পেয়েছে মূলত তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। ছন্দহীন ব্যাটার বাকিদের ব্যর্থতার দিনে খেলেছেন ৫০ বলে ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের সফল বোলার হ্যামফ্রিস। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

যে উইকেটে আইরিশরা ঝড় তুলল সেই উইকেটে রান তাড়ায় নেমেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হ্যামফ্রিসের প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে তুলেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে স্রেফ ২ রান করেন তিনি। মার্ক অ্যাডাইয়ার দ্বিতীয় ওভারে এসে হানেন আরও বড় আঘাত। তার বলে আলতো শটে ক্যাচ তুলে হাঁটা ধরেন অধিনায়ক লিটন দাস। ওই ওভার উইকেট মেডেন নেন অ্যাডাইয়ার।

ডানহাতি এই পেসার নিজের দ্বিতীয় ওভারেও পান উইকেট। শর্ট বল করে ডিপে ফিল্ডার রেখে পারভেজ হোসেন ইমনের জন্য ফাঁদ তৈরি করেন তিনি। সেই ফাঁদেই কাটা পড়েন পারভেজ (৬ বলে ১)। অ্যাডাইয়ার তার প্রথম ৯ বলে কোন রান না দিয়ে নেন ২ উইকেট।

সহ-অধিনায়কত্ব পাওয়া সাইফ হাসান ক্রিজে নেমে ছিলেন খোলসবন্দি। একের পর এক ডট বলে বাড়াচ্ছিলেন চাপ। ব্যারি ম্যাকার্থির ভেতরে ঢোকা বল ফ্লিক করতে গিয়ে স্টাম্প উড়ে যায় তার। ১৩ বলে মাত্র ৬ রান করে বিদায় নেন সাইফ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ২০ রান, হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।

ম্যাচ তখন পুরোপুরি আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে। চরম নাজুক অবস্থায় জুটি বাঁধেন হৃদয়-জাকের।

জুটিতে অগ্রনী ছিলেন হৃদয়, রান বাড়াচ্ছিলেন তিনিই। আরেক পাশে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে থাকা জাকের ফের করেন হতাশ। ম্যাকার্থির শর্ট বলে ক্রস খেলতে গিয়ে ডিপ থার্ডে উঠে তার ক্যাচ, সহজেই তা লুফেছেন জশ লিটল। ৩৪ বলে ৪৮ রানের জুটি ভাঙার পর আশা দেখা ছিলো কঠিন। সাতে নামা তানজিম হাসান সাকিবও ক্যাচ উঠিয়ে থামলে বাংলাদেশ হার যেন তখন একদম স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো। যদিও হৃদয় তখনো ক্রিজে। আরেক পাশে আসা-যাওয়ার মিছলে স্রেফ ৩ বল খেলে হ্যামফ্রিসের শিকার হয়ে বিদায় নেন রিশাদ হোসেনও।

ম্যাচের সমীকরণ নাগালের বাইরে যাওয়ার পর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৩১ বলে ৪৮ যোগ করেন হৃদয়, ৩৪ বলে ফিফটি করে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে তার ইনিংসের কোন পর্যায়ের জেতার আশা দেখা দেয়নি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। উইকেট বুঝে নিয়ে প্রথম থেকেই পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টরের ব্যাটে ছিল দ্রুত রান তোলার তাড়া। স্পিনে জায়গা বানিয়ে বাউন্ডারি আদায় করেছেন দুজন, থিতু হতে দেননি বাংলাদেশের পেসারদের।

প্রথম ৪ ওভারে ৪০ রান তোলেন দুজন। শরিফুল ইসলামের প্রথম দুই ওভারে বাউন্ডারি আসে ৬টি! পঞ্চম ওভারে তানজিম হাসান আক্রমণে এসে স্টার্লিংকে (২১) ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি।

পাওয়ার প্লের পর রিশাদ হোসেনকে চার ও ছক্কায় বোলিংয়ে স্বাগত জানান টিম টেক্টর। তার সঙ্গে তখন জুটি বাঁধেন বড় ভাই হ্যারি টেক্টর।

দুই ভাইয়ের জুটি অবশ্য খুব লম্বা হয়নি। ১৯ বলে ৩২ করে রিশাদের বলে আউট হন টিম টেক্টর।

ছোট ভাইয়ের বিদায়ের পর দায়িত্ব বুঝে নেন হ্যারি টেক্টর। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন লর্কান টাকার (১৮)। পরে আরেকটি কার্যকর জুটি গড়ে ওঠে কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে। ১৭ বলে ২৪ রান করা ক্যাম্ফার আউট হন তানজিমের বলে পারভেজ হোসেন ইমনের অসাধারণ এক ক্যাচে।

আয়ারল্যান্ডের শেষের ঝড় অবশ্য তাতে থামানো যায়নি। জর্জ ডকরেল ক্রিজে গিয়ে তিন বলের মধ্যে দুটি বাউন্ডারি মেরে দেন। শেষ ওভারে টেক্টরের দুই ছক্কায় দলের রান ছাড়িয়ে যায় ১৮০।

টি-টোয়েন্টিতে দেশের মাঠে কখনও ১৬৫ রানের বেশি টপকে জিততে পারেননি বাংলাদেশ। সেই চ্যালেঞ্জ জিততে জরুরি ছিল ভালো শুরু। উল্টো শুরুতেই দল ছুটতে থাকে উল্টো পথে।

ম্যাথু হামফ্রিজের প্রথম ওভারেই মিড অনে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসান। পরের ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন লিটন কুমার দাস।

সেই রেশ কাটার আগেই আরেকটি ধাক্কা। পারভেজ হোসেন ইমনের জন্য স্কয়ার লেগ ও মিড উইকেট সীমানায় ফিল্ডার রেখে বল করছিলেন অ্যাডায়ার। সেই ফাঁদে পা দিয়ে মিড উইকেটেই ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি।

প্রথম ৯ বলে কোনো রান না দিয়ে ২ উইকেট নেন অ্যাডায়ার। সাইফ হাসান প্রথম ৭ বলে পাননি রানের দেখা।সেই সাইফ ভীষণ দৃষ্টিকটূ এক শটে বোল্ড হয়ে যান ১৩ বলে ৬ করে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৪ উইকেটে ২০ রান।

ম্যাচের ভাগ্য গড়া হয়ে যায় সেখানেই। দেখার ছিল, আদৌ লড়াই জমাতে পারে কি না বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটে কিছুটা আভাস দেখা গেলেও লম্বা হয়নি তা। ১৬ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন জাকের। জুটিতে আসে ৩৪ বলে ৪৮ রান। এই জুটি ভাঙার পর ধস নামে আবার। হামফ্রিজ এক ওভারেই ফেরান তানজিম, রিশাদ ও নাসুমকে। ১০০ রান তখন বহুদূরে। ৮ উইকেটে ৭৪ রান নিয়ে ধুঁকছে দল।

সব হারিয়ে কিছুটা লড়াই দেখা যায় নবম জুটিতে। হৃদয়কে সঙ্গ দেন শরিফুল। ৩৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে এগিয়ে যান হৃদয়। শরিফুল নিজেও মারেন বিশাল এক ছক্কা। নবম জুটিতে আসে ৪৮ রান, এই সংস্করণে যা বাংলাদেশের রেকর্ড।

শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটিকে আরেকটু সমৃদ্ধ করেন হৃদয়। দর্শকরা পায় কিছুটা বিনোদন।

দুর্ভাবনাগুলো আড়াল হচ্ছে না তাতে। এই বছর টানা চারটি সিরিজ জয়ী দল এবার হেরে গেল টানা চারটি ম্যাচে।