নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। পরে নিয়ে সালিশ ডেকে এক মেয়ে, বাবা-মাসহ পুরো পরিবারের সবাইকে করা হয়েছে বেত্রাঘাত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্ষমা চেয়েও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছ থেকে পরিত্রাণ মেলেনি। বরং চাপানো হয়েছে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
সেই জরিমানা দিতে না পারায় ওই পরিবারের জামাতার একমাত্র রিকশাটিও আটকের রাখার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মূলত গত সেপ্টেম্বরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালির চর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সম্প্রতি আটকে রাখা রিকশাটি উদ্ধারে গেলে বিষয়টি প্রকাশ করে ভুক্তভোগী পরিবার।
ওই পরিবারটি জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে পরিবারের একটি মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠান হয়। সেই উপলক্ষে মাইক ব্যবহার করেছিলেন তারা। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ওই পরিবারের কাছে এর জবাব চাইতে গেলে সেখানে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সেখানে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন সালিশদার এ নিয়ে সালিশের আয়োজন করেন। সেই সালিশে ওই পরিবারের সবাইকে বেত্রাঘাত করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার পরও করা হয় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা। সেই জরিমানা দিতে না পারায় একটি অটোরিকশা আটকে রাখেন প্রভাবশালীরা।
কন্যার বাবা শাহজাহান বলেন, আমি গরীব মানুষ আমার মেয়ের বিয়েতে শখ করে মাইক বাজিয়েছি। এর জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন পরিবারের সবাইকে মারধর করেছে। তারা আবার আমাদের জন্য সালিশ বাসায়। সালিশদাররা আমাদের সবাইকে ১৫টি করে বেত্রাঘাতের রায় দেয়। আমি এবং পরিবারের সবাই বার বার ক্ষমা চাওয়ার পরেও তারা কর্ণপাত করেননি। সবাইকে বেত্রাঘাত করার পর তারা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় আমার মেয়ের জামাইয়ের অটোরিকশা আটকে রেখেছে। সমাজে অনেকের কাছে গিয়েছি কোনো বিচার পাইনি।
হাতিয়া থানাধীন সাগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, বিয়েতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে খবর পেয়ে ওই সময়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি উভয় পক্ষকে বলেছি আইনি ব্যবস্থা নিতে। তারা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করায় আমি আর সেখানে থাকিনি। এরপরে তারা আমাকে আর কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগও করেননি।
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি 























