Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্লট দুর্নীতি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ১৮ বছরের কারাদণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলায় আদালত সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ১৯ জন আসামি ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।

এই মামলার মধ্যে একমাত্র গ্রেফতার আসামি ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

আদালত গত ২৩ নভেম্বর তিনজন—শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে তিন মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। পৃথক তিনটি মামলায় মোট ৪৭ জন আসামি থাকলেও, একই ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় মোট ব্যক্তিগত সংখ্যা ২৩।

বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১ জুলাই, যখন বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর মামলাগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর এই তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্লট দুর্নীতি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ১৮ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০২:২২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলায় আদালত সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ১৯ জন আসামি ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।

এই মামলার মধ্যে একমাত্র গ্রেফতার আসামি ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

আদালত গত ২৩ নভেম্বর তিনজন—শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে তিন মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। পৃথক তিনটি মামলায় মোট ৪৭ জন আসামি থাকলেও, একই ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় মোট ব্যক্তিগত সংখ্যা ২৩।

বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১ জুলাই, যখন বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর মামলাগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর এই তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।