নিজস্ব প্রতিবেদক :
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এভসেকের তৎপরতায় ও গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় যাত্রী বেশি একটি লাগেজ চুরি চক্রকে আটক করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও গোয়েন্দা তথ্যের কার্যকর ব্যবহারে এই অপরাধ চক্রকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১১: ৫৮ ঘটিকায় ঢাকা থেকে জেদ্দা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা যাত্রী মো. আরমান কে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়। গত ৩ নভেম্বর ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃক আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা প্রদত্ত তথ্যের সহায়তায় এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের দায়িত্বরত সদস্যগণ তাকে আটক করেন।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত আরমান হোসেনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি ০৩ নভেম্বর সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৬) ফ্লাইট যোগে রিয়াদ থেকে ঢাকায় আগমন করেন এবং ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত বেল্ট নং-২ থেকে অন্য যাত্রীর ০২ (দুই) টি লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এরপর ০৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তিনি পুনরায় অন্য বেল্ট থেকে আরও ১ (একটি) লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য যে, যাত্রী বেশে লাগেজ চুরির এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রী ভোগান্তি ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছিল।
অবৈধ ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযুক্ত যাত্রী মোঃ আরমান হোসেনকে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট প্রাপ্ত তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ গভীরভাবে পর্যালোচনা করে উক্ত যাত্রীকে ০১ (এক) বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, দায়িত্বরত এভসেক সদস্যদের গোয়েন্দা তথ্যের সঠিক ব্যবহার, সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের কারণেই এই অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনীর এই সফলতা যাত্রী ও মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশের বিমান পরিবহন নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























