Dhaka মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালসহ ২০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

‎‎নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন-ব্যাংকের এইচ বি এম ইকবালের ছেলে পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, ভাই মঈন ইকবাল, বোন নওরীন ইকবাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু জাফর ও কাজী আব্দুল মজিদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার ফজলে রশিদ,এম. শাহ আলম সারোয়ার, নিয়াজ হাবীব, মাসিহুল হক চৌধুরী, কে. এ. এ এম মাজেদুর রহমান ও ড. এম রিয়াজুল করিম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নওশের আলী, শহীদ হাসান মল্লিক ও শাহেদ সেকান্দার, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক আরিফ আলম, ফৌজিয়া রেকজা বানু, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার এ.এম ওমর খসরু এবং ফরিদা ইয়াসমিন।

এর আগে ‎‎দুদকের উপপরিচালক হোসাইন শরীফ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

‎‎আবেদনে বলা হয়, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যরা পরস্পর যোগসাজসে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয় ইকবাল সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্রাঞ্চের অফিস ভাড়া বাবদ ১৪৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে লুটপাট, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে লোন বিতরণ দেখিয়ে ৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন স্টেশনারী খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন ব্যক্তির নামে এফডিআর খুলে অবৈধভাবে অতিরিক্ত মুনাফা প্রদান করে শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ প্রিমিয়ার ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট, বিপিএল এবং টেলিভিশনে ভুয়া প্রচার দেখিয়ে শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এইচ বি এম ইকবাল ও তার পরিবার কর্তৃক বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগী অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালসহ ২০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

‎‎নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন-ব্যাংকের এইচ বি এম ইকবালের ছেলে পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, ভাই মঈন ইকবাল, বোন নওরীন ইকবাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু জাফর ও কাজী আব্দুল মজিদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার ফজলে রশিদ,এম. শাহ আলম সারোয়ার, নিয়াজ হাবীব, মাসিহুল হক চৌধুরী, কে. এ. এ এম মাজেদুর রহমান ও ড. এম রিয়াজুল করিম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নওশের আলী, শহীদ হাসান মল্লিক ও শাহেদ সেকান্দার, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক আরিফ আলম, ফৌজিয়া রেকজা বানু, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার এ.এম ওমর খসরু এবং ফরিদা ইয়াসমিন।

এর আগে ‎‎দুদকের উপপরিচালক হোসাইন শরীফ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

‎‎আবেদনে বলা হয়, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যরা পরস্পর যোগসাজসে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয় ইকবাল সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্রাঞ্চের অফিস ভাড়া বাবদ ১৪৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে লুটপাট, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে লোন বিতরণ দেখিয়ে ৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন স্টেশনারী খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন ব্যক্তির নামে এফডিআর খুলে অবৈধভাবে অতিরিক্ত মুনাফা প্রদান করে শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ প্রিমিয়ার ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট, বিপিএল এবং টেলিভিশনে ভুয়া প্রচার দেখিয়ে শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এইচ বি এম ইকবাল ও তার পরিবার কর্তৃক বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগী অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।