নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের নাগরিকদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের উচিত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠিয়ে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীদের বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত গণমিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিকেল ৪টায় বাংলামোটর মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শাহবাগ ও মৎস্য ভবন মোড় প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, তাসনূভা জাবিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরীকদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চক্রান্ত চলছে। এমনটি হলে জনগণ মানবে না। ফ্যাসিবাদের সহযোগী কোনো দলকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
নাহিদ বলেন, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে আমরা শুরুতেই স্বাগত জানিয়েছি। তবে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এতে মানুষ ইনসাফ পাবে। আমরা মনে করি এই রায় কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়; বরং জনগণের ন্যায়বিচার। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপস চলবে না।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ভারত সরকার হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা আশা করবো, তাকে ফেরত দিয়ে দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়বে। আমরা চাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের মৈত্রী অব্যাহত থাকুক।
তিনি বলেন, বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অনেক কাজে জড়িত ছিল। তাদের বিচারে বর্তমান ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ একটি মানবতাবিরোধী দল। কারণ, বিগত দিনে তারা পিলখানা, শাপলা ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা করেছে। জুলাই আন্দোলনের সময় নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মেরেছে। লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে। আয়নাঘরে নির্যাতন করেছে। তাই তাদের বিচার করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখতে চাই। শেখ হাসিনার হিম্মত থাকলে দেশে এসে প্রতিবাদ করুক।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ভোট আসার পর জাতীয় পার্টিকে দিয়ে কিছু আসন পাওয়ার চেষ্টা করছে ফ্যাসিবাদী শক্তি। সিভিল সোসাইটির কিছু লোক আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও চৌদ্দ দল প্রসঙ্গে কথা বলছে। তারা মূলত ব্যাংকলুটেরা। আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি কোনো দল ভারতের সঙ্গে মৈত্রী করে ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের পরিণাম আওয়ামী লীগের মতো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























