নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে তৃতীয় দফায় ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূকম্পনের সময় তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে শামসুন্নাহার হলে তিনজন, কুয়েত মৈত্রী হলে একজন, বেগম রোকেয়া হলে একজন ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলে একজন আহত হন। এর মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রী।
শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তার ‘পা ভেঙেছে’।
ইসরাতসহ শামসুন্নাহার হলে আহত বাকি দুজনকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন এ হলের শিক্ষার্থী আনিকা তাসনিম।
কুয়েত মৈত্রী হলের একজন উপর থেকে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে এ হলের আরেক শিক্ষার্থী শাহিদা আকতার প্রভা জানিয়েছেন।
বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আনজুম শারমীন বলেন, তার হলে একজন আতঙ্কিত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। আঘাত পেয়েছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে মাস্টারদা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে হাতে ব্যথা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সাড়ে ৭ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার আবারও ভূমিকম্পে কেঁপেছে দেশ। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। তবে হালকা মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এক ঘণ্টা পরও পায়নি ঢাকার ফায়ার সার্ভিস।
প্রথমে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৩ দশমিক ৭ মাত্রা বলা হলেও পরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, এটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী ঢাকার বাড্ডা; যা ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বে বলে এক বার্তায় জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর।
এর আগে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে আরেকটি ভূমিকম্প হয়, যেটি ছিল মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ মাত্রা। ওই ভূমিকম্পেও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মেলেনি। প্রথমে সেটির উৎপত্তিস্থল বলা হয় সাভারের বাইপাল। পরে তা নরসিংদীর পলাশ বলে জানায় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ অধিদপ্তর।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে তীব্র ঝাঁকুনিতে কাঁপে ঢাকাসহ সারাদেশ। ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে, কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড।
এ ঘটনায় তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ছয় শতাধিক মানুষ। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল, কোথাও কোথাও হেলে পড়ার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবারের এ কম্পনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের আতঙ্কিত তিন শিক্ষার্থী নিচে লাফ দিয়ে আাহত হন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















