আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভেনেজুয়েলার আকাশপথে উড়তে বড় এয়ারলাইনগুলোকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছে মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। সংস্থাটি সতর্কতার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এফএএ জানায়, ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে অবনতি হওয়া নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বাড়তি সামরিক তৎপরতা বাণিজ্যিক বিমানগুলোর জন্য সব উচ্চতায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে বড় ধরনের মার্কিন সামরিক উপস্থিতি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরি, অন্তত আটটি যুদ্ধজাহাজ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে যে ভেনেজুয়েলা ও লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ থেকে মাদকবাহী নৌকা ছাড়লে সেগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
২০১৯ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রী ও কার্গোবাহী বিমান ভেনেজুয়েলায় সরাসরি যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু মার্কিন এয়ারলাইন দক্ষিণ আমেরিকার নির্দিষ্ট রুটে ভেনেজুয়েলার আকাশপথ ব্যবহার করে থাকে।
আমেরিকান এয়ারলাইনস জানায়, তারা গত অক্টোবর থেকেই ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। ডেল্টা এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তারা ‘অনেক আগেই’ ভেনেজুয়েলার ওপর দিয়ে ফ্লাইট বন্ধ করেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইনস এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মার্কিন এয়ারলাইনগুলোকে ভেনেজুয়েলার ওপর দিয়ে উড়তে হলে অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে এফএএ-কে জানাতে হবে। তবে এটি ফ্লাইট পুরোপুরি নিষিদ্ধ করছে না।
এফএএ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ভেনেজুয়েলায় গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমে (জিএনএসএস) হস্তক্ষেপ বেড়েছে, যা কিছু ক্ষেত্রে পুরো ফ্লাইটজুড়ে প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার কাছে উন্নতমানের যুদ্ধবিমান ও এমন অস্ত্র রয়েছে যা বাণিজ্যিক বিমানের উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম। নিচু উচ্চতায় অ্যান্টি–এয়ারক্রাফট আর্টিলারি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 





















