করোনা অতিমারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় জ্বালানি তেল আমদানি, এলএনজি আমদানি সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় লোডশেডিং দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (০৬ই জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে যা যা করার দরকার, সেই জিনসটাই আমরা করছি। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে, সেজন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। তবে আপনারা জানেন ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমেরিকা ও ইউরোপ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো। যার ফলে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এলএনজির দাম বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালিয়ে রাখা আমাদের যেটুকু গ্যাস আছে তাছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালিয়ে রাখাই একটা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালিয়ে রাখা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফার্নেস অয়েলের আগে দাম ছিল ৭০৮ টাকা সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ১০৮০ টাকা, অর্থ্যাৎ ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এলএনজি যেটা মাত্র এমএমবিটিইউ ১০ মার্কিন ডলারে পাওয়া যেতে এখন তা ৩৮ মার্কিন ডলার। প্রায় ২৮০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়লাও ১৮৭ মার্কিন ডলার থেকে এখন তা ২৮৭ মার্কিন ডলার। ডিজেলের লিটার আগে ছিল ৮০ মার্কিন ডলার এখন সেটা ১৩০ চলে এসেছে। এবং শোনা যাচ্ছে এটা নাকি ৩০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,’ করোনার কারণে শুধু আমরা নই, পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে শুধু আমরা নই সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বে বিভিন্ন জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সারের মূল্য বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও’।