Dhaka মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহাম্মদপুরে ছাত্রদল নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদের (২৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সাব্বির আহমেদ মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি এলাকায়। পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাব্বির আহমেদসহ আরও তিন-চারজন ওই বাসায় থাকতেন। সকালে সবাই কাজে বের হওয়ার সময় সাব্বিরের কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে সহকর্মীরা দরজা ভেঙে সাব্বিরকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পান। দ্রুত উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, মোহাম্মদপুর থানার এক ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতে চিহ্ন নেই। তবে হাত বাঁধা ছিলো। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।

নিহত সাব্বিরের মৃত্যুর খবরে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে অনেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাব্বিরের বড় ভাই আব্দুল আজিজ জানান, ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না।লাশ উদ্ধার হয়েছে শুনে এসেছি। কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাব্বির একাই মোহাম্মদপুর থাকতো। পরিবারের সবাই যাত্রাবাড়ি এলাকায় থাকি। মোহাম্মদপুরে পড়াশোনা শেষে হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রী নিয়ে কিছুদিন চাকরিও করেছে। এখন কিছুই করতো না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : জামায়াত আমির

মোহাম্মদপুরে ছাত্রদল নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদের (২৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সাব্বির আহমেদ মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি এলাকায়। পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাব্বির আহমেদসহ আরও তিন-চারজন ওই বাসায় থাকতেন। সকালে সবাই কাজে বের হওয়ার সময় সাব্বিরের কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে সহকর্মীরা দরজা ভেঙে সাব্বিরকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পান। দ্রুত উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, মোহাম্মদপুর থানার এক ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতে চিহ্ন নেই। তবে হাত বাঁধা ছিলো। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।

নিহত সাব্বিরের মৃত্যুর খবরে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে অনেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাব্বিরের বড় ভাই আব্দুল আজিজ জানান, ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না।লাশ উদ্ধার হয়েছে শুনে এসেছি। কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাব্বির একাই মোহাম্মদপুর থাকতো। পরিবারের সবাই যাত্রাবাড়ি এলাকায় থাকি। মোহাম্মদপুরে পড়াশোনা শেষে হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রী নিয়ে কিছুদিন চাকরিও করেছে। এখন কিছুই করতো না।