Dhaka মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন পেছালে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে : মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবার নির্বাচন যদি পিছিয়ে দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও সদরে ৪ নম্বর বড়গাঁও ইউনিয়নের কিশমত কেশুর বাড়ি লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, এর বাইরে কিছু জোর করে চাপিয়ে দিলে এর সমস্ত দায় সরকারকেই নিতে হবে। আমরা এমন কাজ কেন করব, জনগণ তাহলে আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। যারা মুনাফেকি করে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সম্ভব নয়। এই পদ্ধতিতে দলের বাইরে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি আমরা বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে চাই।

শিক্ষা খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি শিক্ষাব্যবস্থায় এক ধরনের অসম্পূর্ণতা তৈরি করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত ভোটের নামে বেহেশতে যাওয়ার টিকে দেয়। তারা এসব মুনাফেকি করে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না।

এনসিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলাকায় একটাও এনসিপি নাই। সে কারনে তারা জামায়াতের সাথে সুর মিলায়। তারা পিআর চাই, জনগণ পিআর বুঝেনা। এসবের কারন ভোট পেছানো।

ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরও অমীমাংসিত বিষয়গুলো চাপিয়ে দিতে চাইলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম ১৫ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। মহিলাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করবে, কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড করা হবে।

এ দেশের মানুষ তাড়া করেছে বলেই হাসিনা পালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে থেকে দেশের সর্বনাশ না করে সাহস থাকলে দেশে এসে আন্দোলন করেন, মানুষের সম্পদ নষ্ট করলে কখনও দেশে ফিরতে পারবে না। যে অন্যায় করছেন তার প্রায়শ্চিত্ত করবেন, জেল খাটবেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধ অনেক বছর জেল খাটিয়েছিলেন।

ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সন্ত্রাস দিয়ে টিকে থাকতে চায়, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে কখনও ক্ষমা করবে না।

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি উজ্জ্বল নাম। রাজনীতিতে নতুন দর্শনের সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়া, তার দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক।

সভায় বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : জামায়াত আমির

নির্বাচন পেছালে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবার নির্বাচন যদি পিছিয়ে দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও সদরে ৪ নম্বর বড়গাঁও ইউনিয়নের কিশমত কেশুর বাড়ি লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, এর বাইরে কিছু জোর করে চাপিয়ে দিলে এর সমস্ত দায় সরকারকেই নিতে হবে। আমরা এমন কাজ কেন করব, জনগণ তাহলে আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। যারা মুনাফেকি করে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সম্ভব নয়। এই পদ্ধতিতে দলের বাইরে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি আমরা বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে চাই।

শিক্ষা খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি শিক্ষাব্যবস্থায় এক ধরনের অসম্পূর্ণতা তৈরি করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত ভোটের নামে বেহেশতে যাওয়ার টিকে দেয়। তারা এসব মুনাফেকি করে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না।

এনসিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলাকায় একটাও এনসিপি নাই। সে কারনে তারা জামায়াতের সাথে সুর মিলায়। তারা পিআর চাই, জনগণ পিআর বুঝেনা। এসবের কারন ভোট পেছানো।

ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরও অমীমাংসিত বিষয়গুলো চাপিয়ে দিতে চাইলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম ১৫ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। মহিলাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করবে, কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড করা হবে।

এ দেশের মানুষ তাড়া করেছে বলেই হাসিনা পালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে থেকে দেশের সর্বনাশ না করে সাহস থাকলে দেশে এসে আন্দোলন করেন, মানুষের সম্পদ নষ্ট করলে কখনও দেশে ফিরতে পারবে না। যে অন্যায় করছেন তার প্রায়শ্চিত্ত করবেন, জেল খাটবেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধ অনেক বছর জেল খাটিয়েছিলেন।

ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সন্ত্রাস দিয়ে টিকে থাকতে চায়, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে কখনও ক্ষমা করবে না।

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি উজ্জ্বল নাম। রাজনীতিতে নতুন দর্শনের সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়া, তার দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক।

সভায় বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।