মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার উথলী মোড়ে সারমানো সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের পাশে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটির পেছন দিক থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে পাম্পের কর্মচারী ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে, তারা এসে আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে আরও কয়েকটি মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। ফলে অনেকের ধারণা, নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগানো হয়েছে।
পাম্পের কর্মচারী হাবিবুর রহমান বলেন, আমি তখন সিএনজিতে গ্যাস দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি বাসের পেছন দিক থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। আমরা পানি ঢেলে নেভানোর চেষ্টা করলেও পারিনি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাসচালক মন্টু মিয়া বলেন, দুপুরে বাসটি পাম্পে রেখে বাসায় চলে যাই। শনিবার রাতে বাসের পেছনের কাচ ভেঙে এলইডি টিভি ও সাউন্ড বক্স চুরি হয়েছিল। বিষয়টি মালিককে জানিয়েছিলাম। আজ রাতে বাসটাই পুড়ে গেল। কী বলব বুঝতে পারছি না।
বাসটির মালিক সিয়াম আহামেদ বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বহনে ব্যবহৃত হয় বাসটি। আগুনের ঘটনায় প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এটি মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাস। আশপাশের কোনো গাড়ি না পুড়ে শুধু আমার গাড়ি পুড়েছে—তাই বিষয়টি নাশকতা বলেই মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল (অব.) জহিরুল ইসলাম বলেন, বাসটি তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নয়। ভাড়া নেওয়া বাসটিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া করা হতো।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ভিডিও চিত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 






















