নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে কয়েক ধাপে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
ইসি জানায়, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি সেশনে ৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবেন। একদিনে দুটি সেশনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে ডাকার কথা আছে। ১৩ নভেম্বর সংলাপ শুরু হলে সর্বশেষ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। এর আগে শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এ সংলাপে জাতীয় পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটের কাউকে না ডাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।
বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৩টি। গত বছরের ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। ফলে দলটিকে সংলাপে ডাকছে না ইসি। এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ একাধিক দল ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল শরিকদেরও নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। এই অবস্থায় ইসির সংলাপে দলগুলো ডাক পাবে কি-না, তা নিয়ে একধরনের সংশয় ও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















